২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

গলাচিপায় বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে প্রতারণা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

তারিখঃ ৭ আগস্ট ২০২২

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিদেশ পাঠানো নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চর সুহরী গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কালাম প্যাদার ছেলে মো. কামরুলের সাথে। নাজমুল তালুকদার (২৫) ও নাঈম তালুকদার (২০) নামে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুই ভাই প্রায়ই বিদেশে পাঠানো কথা বলে লাখ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে আবার অন্য জায়গায় গিয়ে একই ধরণের প্রতারণার ফাঁদ পাতছে। ভুক্তভোগীরা তাদেরকে হন্য হয়ে খুঁজেও পাচ্ছেন না। প্রতারণার মো. কামরুলের মা মোসা. পারুল বেগম (৪৪) জানান, নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদার আমাদের পাশের ইউনিয়নের হওয়ায় তাদের সাথে আমাদের পূর্ব থেকেই পরিচয় হয়। তারা ভালো মানুষ সেজে আমার ছেলেকে বিদেশো পাঠানোর কথা বলে ৬ লাখ টাকার চুক্তি করে। প্রথমে আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয় এবং পরে ভিসা লাগানোর জন্য এজেন্টকে দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও আমার ছেলেকে তারা বিদেশ নেয় নাই। আমার ছেলেকে পাসপোর্ট ও ভিসা কোনোটাই দেয় নাই। ফোন দিলে রিসিভ করে না। ফোন রিসিভ করলেও বিভিন্ন অযুহাত দেখায়। মাঝে মাঝে আমাকে মুঠোফোনে খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে। গত ৬ আগস্ট শনিবার নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদার আমাদের এলাকায় আসলে আমি তাদের কাছে টাকা ফেরৎ চাহিলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালমন্দ করে এবং আমাদেরকে টাকা ফেরৎ দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি সরল বিশ্বাসে তাদেরকে টাকা দিয়েছি। যাতে আমার ছেলে বিদেশ গিয়ে কিছু একটা করতে পারে। কিন্তু আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আমি কি আর আমার টাকা ফেরৎ পাব না। আমি এর বিচার চাই। যাতে আর কেউ নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদারের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার স্বীকার না হন। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার জানান, কামাল প্যাদা একজন জেলে। অসহায় গরিব মানুষ। মানুষের কাছ থেকে এবং এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে ছেলেকে বিদেশ পাঠানো জন্য নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদারকে দিয়েছে। কিন্তু তারা এভাবে প্রথারণা করবে তারা বুঝতে পারে নাই। এখন তারা ঋণের বোঝা নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাজমুল তালুকদার ও নাঈম তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ইনচার্জ (ওসি) আর এম শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয় কামরুলের মা মোসা. পারুল বেগম বাদী হয়ে ৭ আগস্ট রবিবার বিকালে গলাচিপা থানায় লিখিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ