২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গলাচিপায় হস্তান্তরের আগেই ফায়ার সার্ভিস ভবনের দেয়ালে ফাটল

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

 

সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় অগ্নিকান্ড ও নৌ-বিপদ থেকে রক্ষার জন্য প্রায় ৩ বছর ধরে চলে আসা একমাত্র ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ। হস্তান্তরের পূর্বেই দেখা দিয়েছে নির্মাণ কাজে বিভিন্ন ত্রুটি।
ইতিমধ্যে ভবনের চারিদিকে নির্মিত সুরক্ষা দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় দেয়াল ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চারপাশে আলোকিত করার জন্য নির্মিত হয় বেশ কয়েকটি লাইট পোষ্ট। এর মধ্যে পেছনের একটি লাইট পোষ্ট হেলে পড়েছে যা, যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। সুরক্ষা দেয়ালের ভেতরে অনেকগুলো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, বহু বছর আগ থেকে এলাকার অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি দুটি কালভার্টের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হয়। অথচ তাদের দাবি এখানে কোন খালই ছিলনা, নতুন করে খনন করা হয়েছে। মূল ভবনের পলেস্তার ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় লবনাক্ততায় ফুলে ফেঁপে ওঠার কারণে যে কোন মুহূর্তে মূল দেয়াল ধসে পড়তে পারে।
এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসা যাওয়ার জন্য সামনে নেই কোন সংযোগ সড়ক।
৩ বছর পূর্বে ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহিউদ্দিন এন্টারপ্রাইজ। যার স্বত্বাধীকারি মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদ। পটুয়াখালী জেলা গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ এর ভাষ্যমতে ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থের পরিমান ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার কিছুু বেশি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজের মান নিম্ন হওয়ায় এবং হস্তান্তরে সময়ক্ষেপন করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারি মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদের জানান, ভবনের পিছনে ছোট একটি খাল খননের কারণে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, ভবনের পেছনে এস্কেবেটর মেশিন দিয়ে ১৫ ফুট খাল খনন করায় দেয়ালে ফাঁটল ধরেছে এবং লাইটপোষ্ট হেলে গিয়ে থাকলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দিবে।

সর্বশেষ