২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গলাচিপায় হয়রানী মামলায় ভুগছে সোহেল কাজী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় হয়রানি মামলা থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছে মো. সোহেল কাজী (৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কাজীর হাওলা গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়িতে। সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে একাধিক হয়নারি মামলা দায়ের করা হয়েছে মো. রুহুল আমিন কাজীর ছেলে সোহেল কাজীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সোহেল কাজীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৪ দিন হয়রানি মামলায় জেল হাজত থেকে বেরিয়ে এখন আমি নিরুপায় হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আমি জেল খেটেও প্রতিপক্ষের হাত থেকে রেহাই পাই নাই। একের পর এক মামলা দিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে আমার প্রতিপক্ষ মোসা. জেসমিন বেগম (৪০)। আমি মারা গেলে আমার সম্পত্তি দখল করে হয়ত তাদের পেট ভরবে। আমি এর কী কোন বিচার পাব না। দেশে কী কোন আইন নাই”Ñএই কথা বলে সোহেল কাজী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি আরো বলেন, জেসমিন বেগম যে জায়গা উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ওই জায়গায় আমার কোন সম্পত্তি নাই। আমি সেখানের কোন ওয়ারিশ নই। তারপরও কেনো যে আমাকে পেঁচিয়ে মামলা দিয়েছে বলতে পারছি না। আমি সর্বসান্ত হয়ে পথে বসে গেছি। আমি এ থেকে বাঁচতে চাই। এ বিষয়ে মামলার বাদী জেসমিন বেগম বলেন, আমার জমিতে যারা বাধা বিঘœ সৃষ্টি করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এ বিষয়ে সোহেল কাজীর স্ত্রী মোসা. আফরিন আক্তার জানান, আমি তিন সন্তানের জননী। একমাত্র আমার স্বামীর উপার্জনেই চলে আমার সংসার। মোটর সাইকেলের গ্যারেজে কাজ করে আমার স্বামী যে টাকা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোন মতে চলে আমাদের সংসার। আমার স্বামীকে বাদী আরও মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জেল খেটে এখন আমার স্বামী নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। এভাবেই আমরা হয়রানির শিকার। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মাসুম মিয়া জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এর একটা সুরহা হলে ভাল হয়। এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য ঝুমুর আক্তার বলেন, সোহেল কাজী গরীব মানুষ। অভাবের সংসারে মামলা খেয়ে সে এখন দিশেহারা। মামলা থেকে তার অব্যহতি পাওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মস্তফা খান বলেন, আসলেই সোহেল কাজীর পরিবারটি অসহায় এবং গরিব। বিষয়টি মীমাংসা হলে সোহেল কাজীর গরিব পরিবারটি বাঁচতে পারত। উল্লেখ্য জেসমিন বেগম সোহেল কাজীসহ ৯ জনকে বিবাদী করে গলাচিপা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে আদালতে একটি এমপি নং- ৬০৯/২২ নম্বর মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ