১৩/০৪/২২ইং
গৌরনদী প্রতিনিধি
বরিশালের সরকারি গৌরনদী কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর ১২টায় ছাত্রলীগ দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। গুরুতরভাবে আহত দুই জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন পক্ষ মামলা দায়ের করেনি।
স্থানীয় লোকজন, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমরান মিয়ার সঙ্গে গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সদস্য মোঃ আতিক মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই উভয়ের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগ নেতা আতিক মিয়ার ছোট ভাই জিহাদ মিয়া তার সমর্থক সাব্বির হোসেন প্রতিপক্ষ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান মিয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী সাকিব হোসেন, মোঃ রিফাত, মোস্তফা হোসেন, আজিজুল, সাহাদুল ও হিমেল আহত হয়। গুরুতরভাবে আহত জিহাদ মিয়া ও সাব্বির হোসেনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগ নেতা আতিক মিয়ার ছোট ভাই কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ জিহাদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা এসে প্রায়ই ছাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরন ও বখাটেপনা করে। যে কারনে কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ইমরান মিয়ার সমর্থক বহিরাগত আজিজুল ও সাহাদুল কলেজে প্রবেশ করে বখাটেপনা দেখায়। এ নিয়ে আমি তাদের শাসিয়ে দেই। পরবর্তিতে ইমরান মিয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফা, আজিজুল, সাহাদুল ও হিমেলসহ ২০/২৫ জন লাঠিসোটা ও লোহার রড ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমাকে ও আমার সহযোগী সাব্বির হোসেনকে আহত করেছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমরান মিয়ার সমর্থক সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ মোস্তফা হোসেন বলেন, বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে কলেজ ক্যাম্পসে আমার সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী সাকিব হোসেন, মোঃ রিফাতসহ ৪/৫ জন কর্মী আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আতিক মিয়ার ছোট ভাই ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ জিহাদ মিয়া তাদের গালাগাল করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জিহাদ মিয়া ছাত্রলীগ কর্মী সাকিব হোসেন, মোঃ রিফাতকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
