২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, হারিছ প্রধান আসামী করে মামলা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার দুই সমর্থক পলাশ ও মামুনকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে অবরুদ্ধ ও ইউপি চেয়ারম্যানের মা-ভাইকে উপজেলা হাসপাতালের ফটকে মারধর ও মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত বেশ কিছু আসামীদের মামলায় সম্পৃক্ত করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (সাবেক পৌর মেয়র) ও আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী মডেল থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) ইউপি চেয়ারম্যানের মা তাপসী রানী গুহ বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার বাদী তাপসি রানী গুহ বলেন, এরআগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। ওই মামলায় ঘটনার মূলহোতা হারিছুর রহমানকে ৩০ নাম্বার আসামী করা হয়েছিলো। আমি ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলাম। পরবর্তীতে মামলার কপি হাতে পেয়ে দেখি অনেক আসামী বাদ পরেছে এবং যারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিলোনা তাদের আসামী করা হয়েছে।

এজন্য ঘটনার মূলহোতা হারিছুরকে ১ নাম্বার আসামী করে এবং ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিলোনা তাদের বাদ দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, আদালতের কপি এখনো হাতে পাইনি। কপি পেলে এবিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য- গত ২ মে (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে বাটাজোর এলাকায় গণসংযোগে যায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ও তার সমর্থকরা। এ সময় হারিছুর রহমানের সমর্থকরা ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু ও তার দুই সহযোগিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাতে অন্য হাসপাতালে যেতে না পারে এজন্য গুরুত্বর আহত ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিকে হাসপাতালে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এমনকি আহত ইউপি চেয়ারম্যানকে দেখতে তার মা তাপসী রানী ও ভাই সলিল গুহ পিন্টু হাসপাতালে ছুটে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। ঘটনার পর থেকে হারিছুর রহমানকে দায়ী করে আসছিলো আহতের পরিবার।

সর্বশেষ