১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গৌরনদীতে সরকারী হাসপাতালে ঔষধ পাচার, তদন্ত কমিটির কাজ শুরু

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

শামীম আহমেদ :: রাতের আধারে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ পাচার, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে ওষুধ পোড়ানো ও পাচারের ছবি তুলতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যে বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির কাজ শুরু করা হয়েছে।

বুধবার বেলা এগারটার দিকে হাসপাতাল প্রধানের কক্ষে তদন্ত কাজ শুরু করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফয়সাল জামিল, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ ও গৌরনদী মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপুল পরিমান ওষুধ পাচারের খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছয়টি বস্তাভর্তি ওষুধ পাচারের ছবি তোলায় ক্ষিপ্ত হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাইয়্যেদ মোঃ আমরুল্লাহ ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাজেদুল হক কাওছার। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করেন এবং বেশকিছু ওষুধ জব্দ করেন। এসময় সরকারি ঔষধ পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসপাতাল প্রধান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয়রা। তবে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে হাসপাতালের স্টোর কিপার মোঃ সাইদুর রহমানের উপর দায় চাপিয়ে দেয়ার চেস্টা করেন হাসপাতাল প্রধান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার।

স্টোর কিপার মোঃ সাইদুর রহমান জানান, গত ২০ মার্চ ২০২০ সালে হাসপাতালের প্রতিটা স্টোরের চাবি আমার (সাইদুর) কাছ থেকে নিয়ে নেয় আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাজেদুল হক কাওছার। সেই থেকে স্টোরের ঔষধপত্র ও যাবতীয় মালামাল সরবরাহ করতেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার। তিনি নামেমাত্র স্টোর কিপার ছিলেন। বিষয়টি তখন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি (হাসপাতাল প্রধান) বলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে চাবি থাকলে আপনার (ষ্টোর কিপার) সমস্যা কোথায়।

স্টোর কিপার সাইদুর রহমান আরও জানান, বর্তমানেও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে তিনটি চাবি গচ্ছিত রয়েছে। মূলত চাবিগুলো তার (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) কাছে থাকায় তিনি নিজের ইচ্ছামত ঔষধপত্র ও অন্যান্য মালামাল সরবরাহ করতেন। যা ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি তদন্তে সঠিক রহস্য বেড়িয়ে আসবে। তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ