১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরকাউয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশংসিত ইউএনও

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়ায় ইউনিয়নে নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আর এতে করে উপজেলাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন সদর উপজেলা ইউএনও মো: মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো: মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার চরকাউয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি নদীর বেড়িবাঁধ, সড়ক পরিস্কার ও দখল মুক্ত রাখতে সকলকে আহবান জানান।

জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলা চরকাউয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাতের আঁধারে নদীর বেড়িবাঁধ দখল করে অবৈধ প্রায় ২৫টি স্থাপনা নির্মাণ করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। গত তিনদিন যাবৎ মহলটি সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী দাবি করে চরকাউয়া খেয়াঘাট থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়ক ও নদীর বেড়িবাঁধ দখল করে দোকান নির্মাণ করছে।

স্থানীয়দের এমন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে কোটি টাকার প্রকল্প ছিলো নদী ভাঙ্গন রক্ষায় ব্লক নির্মাণ ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। সেই বেড়িবাঁধকে কেন্দ্র করে একের পর এক দখল চালিয়ে আসছে প্রভাবশালী নেতারা। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি সাথে সাথে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

রাজু নামের এক পথচারী বলেন, দখলবাজদের ভয়ে মুখ খুলতে পারি নাই আমরা। আমাদের চোখের সামনে সড়ক ও নদীর বেড়িবাঁধ দখল করেছে। আমরা সাধুবাদ জানাই ইউএনও মহোদয়কে। এতোদিনের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে জনগনের চলাচলের রাস্তা ও নদীর বেড়িবাঁধ দখল মুক্ত করে দিয়েছে। বিষয়টি সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

এ বিষয়ে বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, নদীভাঙ্গন রোধে বর্তমান সরকার কোটি কোটি টাকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক এমপি মহোদয় স্মার্ট বরিশাল গড়ার লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে সরকারি খাস জমি ও নদীর উপর নির্মিত বাঁধ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কোন অবস্থায়ই অবৈধভাবে এ সকল জায়গা দখল করতে দেয়া হবে না। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ