৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরফ্যাশনে খাল বন্ধ করে কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চরফ্যাসন পৌর সদরের মান্দারতলী খালের শাখা মানিকখালী খালের পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে ব্যক্তিগত ভাবে নিজ বাড়ির পথের জন্য কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ উঠেছে মামুন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পৌর সভার অনুমতি নেয়ার কথা থাকলেও পৌর সভার কর্মকর্তাদের বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে কালভার্টটি নির্মান করেছেন বলে জানাগেছে। কালভার্ট নির্মানের ফলে খালের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে ওই এলাকার মানুষ। পৌর সভা ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করলেও কোন ব্যবস্থা নেননি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
পৌর সভা সুত্রে জানাযায়, পৌর সদরে ক্যানেল বা খাল দখল করে ব্যক্তিগত ভাবে স্থাপনা ও কালভার্ট নির্মানের কারো বৈধতা নাই। যদি কেউ জবরদখল করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বৈধতা রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের।
এলাকা সুত্রে জানাযায়, পৌর সদরের আদর্শপাড়া গ্রামের জিন্নাগড় ইউনিয়নের মান্দারতলী খালের শাখা মানিকখালী খালটি পৌর সদরের সাথে সংযুক্ত হয়। ওই খালটি পৌর সদরের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি বাহক হিসেবে কাজ করে। এবং ওই এলাকার মানুষের পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটি একমাত্র ভরসা। সম্প্রতি সময়ে ওই এলাকার বাসিন্ধা কাঞ্চন মিয়ার ছেলে মামুন মানিক খালী খালের পানি সরবরাহ বন্ধ করে নিজ জমির পথের জন্য একটি কালভার্ট নির্মান করেন। এতে ওই খালের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। পৌর সদরের ওই এলাকার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে গ্রামবাসীরা। এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করে কোন সুফল পাননি বলে জানান।
অভিযুক্ত মামুন জানান, ওই খালের ওপরে অনেকেই চলাচলের জন্য বাধ দিয়েছেন। আমিও একটি কালভার্ট নির্মান করেছি। যদি পৌর সভার প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দেয় তাহলে আমার কিছুই করার নাই।
কাউন্সিলর কাজী মনির জানান,কালভার্ট নির্মানের বিষয়টি দেখে আসছি। পৌর সভার অনুমতি ছাড়া এভাবে ব্যক্তিগত কালভার্ট নির্মান করা তার বৈধতা নাই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ