২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরফ্যাশনে প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াসব্লক বিক্রি করেছে ম্যানেজিং কমিটি!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর আসলামপুর ৭২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ওয়াসব্লকটি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারের যোগসাজসে ভেঙ্গে বিক্রি করে দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবকগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সরকারী সম্পদ আত্মসাতে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধাণ শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি সিদ্দিক সরদার কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে বাদ রেখে ওই বিদ্যালয়ের পুরোনো একটি স্কুল ভবনকে পরিত্যাক্ত দেখিয়ে টেন্ডার নেয়। এবং ভবনের সঙ্গে প্রায় ৫লাখ টাকা মুল্যের
তিন বছর পূর্বে নির্মিত একটি ওয়াসব্লক গোপনে বিক্রী করে। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা কহিনুর বলেন, ওয়াস ব্লকটিতে ২টি পানির ট্যাংক,বেসিং অজুখানা ও টাইলস করা টয়লেটসহ গোসলখানাটিও ভেঙ্গে নিয়ে যায়। কমিটির সহ-সভাপতি সিদ্দিক বলেন, ডিউ লেটারের মাধ্যমে বিপ্লব কমলসহ আমারা দুইজনে ভবনটি টেন্ডার নেই। ভবনটির সঙ্গে একটি টয়লেট ছিলো যা ১লাখ ৬০হাজার টাকায় বিক্রী করি। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের একাধীক অবিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন যোগদানের পর থেকেই দির্ঘদিন ধরে বিস্কিট বিতরণে অনিয়মসহ শিক্ষার্থীদের উপবিত্তি নিয়েও অনিয়ম করছেন। এছাড়াও গোপনে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্ধ নিয়েও কাজ করছেন না তিনি। স্থানিয় বাসিন্দা মিহাদ বলেন,ওয়াসব্লকটির দুইটি ট্যাংকি সাহেব আলি নামের এক ভ্যানওয়ালাকে দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় শিক্ষক আনোয়ার। সাহেব আলি আড়াইশত টাকা ভ্যানভাড়ায় দুইটি ট্যাংকি প্রধান শিক্ষকের বাড়ি নেয়ার বিষয়টি স্বিকার করে মুঠোফোনে জানান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার বলেন, ভবন টেন্ডার সংক্রান্ত ডিউ লেটার দেখে ভবনটির সঙ্গে একটি টয়লেট উল্লেখ করে রেজুলেশন করা হয়েছে। তবে আমি ২হাজার টাকায় ট্যাঙ্কি কিনে নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার জানান, ভোলা থেকে ডিপিও’সহ একটি তদন্তদল পরিদর্শনে যাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন,তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ