নিজস্ব প্রতিবেদক :
নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে গৌরব ও ঐতিহ্যের বিজয়ের ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন করেছে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ জাহানপুর ইউনিয়নের সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। ।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টায় জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুলদিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এসময় তারা এক মিনিটি নিরবতা পালন করে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এ সময় মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ চত্বর।
এরপর সকাল ৯ টায় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যবুলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ , স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষক ,ছাত্র– ছাত্রীসহ এক বিশাল বিজয় র্যালিতে অংশ নেয়।
র্যালি শেষে চেয়ারম্যান নাজিম হাওলাদার -এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ নসু মীয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আকবর ফরাজী, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাদ হাওলাদার, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক পাটোয়ারী, যুবলীগের সভাপতি জনাব জাফর ইকবাল শান্ত, যুবলীগের সেক্রেটারি নুর ইসলাম নাহিদ, ছাত্রলীগের সভাপতি আল রাজিব হাওলাদার, ছাত্রলীগের সেক্রেটারি রিয়াজ পাটোয়ারী, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বাবুল, নুর ইসলাম হাওলাদার, সাংবাদিক ইসরাফিল প্রমখ। এই সময় দলের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমি স্মরণ করছি ইতিহাসের মহানায়ক স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি এনে দিয়েছিলেন মহান স্বাধীনতা। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াবার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি সকল শহিদদের প্রতি। যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বহু রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতীর মহান বিজয় সূচিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ডাকের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী সেদিন পরাজয় স্বীকার করে বাঙালিদের কাছে। আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়। বাঙালি জাতি পৃথিবীর মানচিত্রে ঘটেছিল স্বাধীন এক রাষ্ট্র যার নাম বাংলাদেশ।