২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরবাড়িয়ায় সোহাগ মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা ও বসতঘর ভাঙচুর, আহত সাংবাদিকরাও!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল সদর উপজেলায় ফসলি জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। এছাড়া তথ্য সংগ্রহে গেলে আহত হন সাংবাদিকরাও।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার ৩ নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের মুকুন্দপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- স্থানীয় মোহাম্মদ আলী খানের মেয়ে মোসাঃ সাথী বেগম, তাদের স্বজন মাসুম, তানিয়া, রবিন, নাঈম, সারমিন ও সুমি। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাথী অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবার ৩৯ শতাংশ ফসলি জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছিল স্থানীয় মোহাম্মদ হারুন খান। তার সহযোগী হিসেবে মদদ দেন ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ। এ নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করি। উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। এ সময় শত বছরের চলাচলের একটি রাস্তা রয়েছে সেটি সংস্কার করে চলমান হবে আর ফসলি জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা যাবেনা বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্ত তারা সিদ্ধান্ত না মেনে ফসলি জমির ওপর দিয়েই রাস্তা নির্মাণে পাঁয়তারা চালান। এরই ধারবাহিকতায় ৫ ডিসেম্বর আমরা আমাদের ফসলি জমির ওপর দিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত করা সেই রাস্তার জমি ঠিক করতে গেলে হারুন খান বাধা দেন। আমরা তখন শত বছরের সেই রাস্তার নির্দিষ্ট জমিতে পুনরায় রাস্তা নির্মাণ করে দিব পাশাপাশি আমাদের ফসলি জমি উদ্বারে তাকে বললে তিনি কিছু না বলে চলে যান।

সাথী আরও বলেন, হারুন খান চলে যাওয়ার পর ইউপি সদস্য সোহাগ ও তার বাহিনী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ঘর- বাড়ি, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করে। আমার আত্নীয় মাসুমকেও কুপিয়ে জখম করে। মুলত হারুন খানের পক্ষ নিয়ে ইউপি সদস্য সোহাগ এই হামলা চালান। এদিকে এ ঘটনায় তথ্য পেয়ে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে তাদের ওপরও হামলা চালায় সোহাগ ও তার বাহিনী। এছাড়া সাংবাদিকদের সাথে থাকা বুম ও বড় ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু ও যথাযথ বিচারের দাবী জানান সাথী সহ তার পরিবার।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাব-দাদার আমলের ১০০ বছরের পুরনো রাস্তা থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনের তোয়াক্কা না করে ফসল নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা। এমন অবস্থায় ভুক্তভোগীরা বরিশাল জেলা প্রশাসক মহোদয় ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সুষ্ঠু বিচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা করেন জাতে ফসলি জমি নষ্ট না করা হয়।

এ বিষয়ে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সোহাগ হাওলাদার বলেন, একটি রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দ্বন্ধ চলে আসছিল। গতকাল ৫ ডিসেম্বর সোহাগ মেম্বার ও মহিলা মেম্বর গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলায় তার সাথে তর্কে জড়ায় একপক্ষ। এ সময় স্থানীয়রা তখন ক্ষুদ্ধ হয়ে হামলা চালায়।

মেম্বার সোহাগ আরও বলেন- আমার মদদে কোন হামলা হয়নি। উল্টো আমি হামলা যাতে না হয় সেটিকে প্রতিরোধ করি। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, রাস্তা নিয়ে একটি ঝামেলা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ