৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরা দামে গোস্ত বিক্রি করছে কশাই !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে কিছুতেই নিয়ন্ত্রনে আসছে না মাংসের বাজার। খুরচা পর্যায়ে গরুর মাংসের কেজি ৮০০-৮৫০ টাকা। আর মুরগিরও দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার ও শনিবার সকালে মাদারীপুর পৌরসভার চৌরাস্তা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাংসের দোকানে ভীড় করছেন ক্রেতারা। গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। এরমধ্যে দোকানদারের মতে মাংস নিলে দাম দিতে হচ্ছে ৮০০ টাকা, আর ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী নিলে একই গরুর দাম হয়ে যায় ৮৫০ টাকা। আর খাসির কেজি ঠেকেছে ১১৫০-১২০০ টাকায়। এদিকে মুরগির মাংসের দামও চড়া। প্রতি কেজি মুরগির দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা।
বাজারে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, কক ও সোনালী মুরগির দাম ৩২০ টাকা কেজি। এছাড়া দেশি মুরগির দাম ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো। এছাড়া দেশি হাঁসের কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা ও রাজহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রন না থাকায় দোকানীরা ইচ্ছে মতো নিচ্ছে মাংসের দাম। আর বিক্রেতাদের রয়েছে খোঁড়াযুক্তি। বিক্রেতাদের দাবি, মাঠ পর্যায়ে দাম বাড়তি থাকায় বাজারে বেড়েছে মাংসের দাম।
শহরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চৌরাস্তা, ইটেরপুল ও পুরাণ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারেই গরুর মাংসের দাম চড়া। ৮০০ টাকা থেকে শুরু হয় গরুর মাংসের কেজি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ক্রেতারা নিরুপায়। বাজারে নেই মনিটরিং, নেই সরকারের কোন পদক্ষেপ।
মো. সোহান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের গরুর মাংস কেনার অবস্থা নেই। বাজারে দাম বাড়তি থাকায় ক্রেতারা এখন নিরুপায়। ক্রেতাদের ভোগান্তি হলেও দেখার কেউ নেই।
চৌরাস্তা বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা আলী আরসাব বলেন, ৩৫ হাজার টাকা গরুর মণ কিনে আনতে হয়। গ্রামগঞ্জে গরুর খামারীরা দাম কমালে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারি। বর্তমানে গরুর দাম এতো বেশি, তাতে বিক্রেতাদেরও লোকসান হয়। আজকে বাজারে তিনটি গরুর জবাই করা হয়েছে, তাতে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হবে।
আরেক বিক্রেতা আল আমিন সরদার বলেন, বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব না। গ্রাম থেকে গরুর কম দামে পাইলে, আমরাও কম দামে বিক্রি করবো। আমাদেরই বেশি দামে কিনে আনতে হয়, এর অন্যতম কারণ গো-খাদ্যের দাম বেশি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের সহকারি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাজারে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। অর্থদন্ডের পাশাপাশি দোকানিদের সতর্কও করা হয়।

সর্বশেষ