২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

চলতি বছরে চালু হচ্ছে বরিশাল-পটুয়াখালী পায়রা সেতু

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

চলতি বছরই খুলে দেওয়া হবে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দীর্ঘতম পায়রা সেতু। ইতোমধ্যে মূল সেতুর প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কথা বিবেচনায় রেখে সেতুটি দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হয়েছে। সেতুটি চালু হলে সমুদ্র বন্দর পায়রা ও কুয়াকাটার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ফেরিমুক্ত হবে।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দ্বিতীয় স্বপ্নের সেতু এটি। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দ্রুত খুলে দিতে দিনরাত ঘাম ঝরাচ্ছেন শ্রমিকরা। সেতুর শেষ চারটি স্প্যান বসানোর প্রস্তুতির পাশাপাশি নদীর ওপর সুপার স্ট্রাকচার এবং দুই পাড়ের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ সবই চলছে একযোগে। দেশি-বিদেশি এক হাজার ৩ শতাধিক শ্রমিক সেতু নির্মাণে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ২৮৬টি পাইল, ৩১টি পাইলক্যাপ, ২২৪টি আই গার্ডার, ২৮টি স্লাব ও সব পিলার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

পায়রা ব্রিজের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, আমাদের টার্গেট হলো এ বছর যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া। ইতিমধ্যে মূল সেতুর ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

নদীর নিচের মাটি নরম হওয়ায় মূল সেতুর নকশা সংশোধন করতে হয়েছে। চার লেনবিশিষ্ট সেতুটি এক্সট্রাডোজড ক্যাবল স্টেইড প্রযুক্তিতে নির্মিত হচ্ছে বলে জানান পায়রা ব্রিজ উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, সেতুটি রি-ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়াও নদীশাসনের কাজও শেষপর্যায়ে। এগুলো আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করেছি।

পায়রা সেতু দেশের সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে মাইলফলক বলে মনে করেন বরিশাল সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল

২০১৬ সালে পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশনের নির্মাণকাজ করছে।

সর্বশেষ