২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন জাতের ফলের বাগান

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এম.এ.আর নয়ন, চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে আঙুর, ডালিম, ড্রাগন, পেয়ারা, নারকেল, মাল্টা, বারোমাসি আমসহ বিভিন্ন জাতের ফলের বাগান। আবহাওয়া ও জলবায়ু মোটামুটি অনুকূলে থাকায় এসব ফলের বাগানে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। তাছাড়া এই জেলার মানুষ শৌখিন হওয়ায় শখের বসেই তারা বাড়ির আশেপাশে এবং অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে এসব বাগান গড়ে তুলছেন।
এই জেলার ফলের বাগানে উৎপাদিত এসব ফল অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু।
জেলায় মাল্টা বাগান প্রথম গড়ে ওঠে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিধিকুণ্ড গ্রামে। তারপরে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে এই সুস্বাদু ফলের বাগান। ড্রাগন ফলের বাগান ও এই ইউনিয়নসহ জেলার অনেক গ্রামে গড়ে উঠেছে। বারোমাসি আম উৎপাদন করে সারাদেশের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের এক চাষী। আর পেয়ারা ও আম বাগান গড়ে উঠেছে জেলার প্রায় প্রতিটা গ্রামেই।

জেলার একমাত্র ডালিম বা আনার ফলের বাগান গড়ে তুলছেন দর্শনার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী। তার ফলের বাগানে ইতোমধ্যে ডালিম ধরা শুরু করেছে। প্রতিটা গাছে প্রচুর পরিমাণে ডালিম ধরে রয়েছে।
সম্প্রতি ডালিম বাগানটি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এছাড়া দর্শনা হঠাৎ পাড়ায় শখের বসেই দু’জন মিলে গড়ে তুলেছেন সুমিষ্ট আঙুর ফলের গাছ। তাদের এ সমস্ত গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে রয়েছে অজস্র আঙুর।
এসব ফল বাগানের মালিকেরা জানান, প্রথম দিকে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই তারা এসব ফলের বাগান গড়ে তোলেন। আজ তারা পুরোপুরি সফল। সরকারি সহায়তা পেলে এসব ফলের বাগান ব্যাপকহারে সারাদেশে গড়ে তোলা সম্ভব। তখন আর আমদানি নির্ভর না হয়ে দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে এসব বিভিন্ন জাতের ফল।

সর্বশেষ