১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মেম্বারের ওপর হামলা!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন এর নেতৃত্বে ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় মেম্বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। বুধবার ভোররাতে ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশগাড়ি নতুনকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা র‍্যাবের পোষাক পরে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এই হামলা চালায় বলে দাবি করেন ভূক্তভোগী পরিবার।

হামলার পর মেম্বারের চাচাতো ভাই কালইল শিকদারকে (২২) অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে গুরুতর আহত ইউপি সদস্য আকতার শিকদারকে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন এর সাথে ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে র‌্যাবের পোষাক পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন এর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের বাড়িতে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ সময় তার চাচাতো ভাই কালইল শিকদারকে (২২) অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটনানো হয়।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সুমন, সেলিম, আব্দুল রশিদকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

ইউপি সদস্যের পিতা মতি শিকদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সুমন এর নেতৃত্বে তার লোকজন র‌্যাবের পোশাক পরে আমাদের বাড়িতে এসে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় আমার ছেলেকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করেছে। আমি এ হামলার দৃষ্টান্ত বিচার চাই।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

তিনি আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন আমাদের কাছে বলেছেন, ইউপি সদস্যকে মারধরের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার কোন লোকজন এ ঘটানার সাথে জড়িত নয়।

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুরের কালাই শিকদারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আছে। সে মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। ওয়ারেন্টের আসামি ধরার জন্য আমাদের র‌্যাব সদস্য গিয়েছিল। আমরা তাকে নিয়ে এসেছি। এখন জানতে পারলাম তিনি কিছুদিন পূর্বে আদালত থেকে জামিন নিয়ে গেছেন। আমরা তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিবো। কাউকে মারধরের বিষয়ে আমরা কোন কিছু জানি না।

সর্বশেষ