নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দখল করে বিসিক শিল্প নগরীর সিমান প্রাচির নির্মাণকে কেন্দ্র করে করে নানা নাটকীয়তার জন্ম নিয়েছে। কোন ধরনের পরিমাপ না করে বিসিক কর্তৃপক্ষ রাস্তার জায়গার উপরে তাদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করেছে। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেই বেকায়দায় পরে বিসিক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই শুরু হয় গোপন বৈঠক ও সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখলের মহড়া। তারই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনাকে বৃহতকার বানিয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে কুপকাৎ করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে বিসিকের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানান সেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র হাত ধরে নানা সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রাখেন ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্না। ঠিক যখনি সকল বিতর্ক পিছনে ফেলে সাধারন মানুয়ের কথা ভেবে দূর্বার গতিতে পথ চলতে শুরু করে তখনি আওয়ামী লীগ মতবিরোধী কিছু লোক তাকে বেকায়দায় ফেলতে নানা কুট কৌশল অবলম্বন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান তার ভাইকে দিয়ে রইজ আহমেদ মান্নাসহ তিন ছাত্রলীগ নেতার নামে বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় মারধর ও চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করান।
প্রমোশনাল খবর
এ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্না, মোঃ হিরা, হৃদয়সহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামী করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে সেদিন যা ঘটেছিল- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার জায়গার উপর বিসিক কর্তৃপক্ষ তাদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ পরিদর্শনে যান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় এলাকাবাসী মেয়রের কাছে বিসিকের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম দুর্নীতিসহ বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমানের সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করলে মিজান বাহিনী এলাকাবাসীর উপর চরাও হন। এ নিয়ে মেয়রের সাথে থাকা ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্না, মোঃ হিরা, হৃদয় প্রতিবাদ করলে একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে তাৎক্ষনিক মেয়রের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ ঘটনাকে পুঁজি করেই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় তাদের।
এদিকে মিথ্যা মামলা দায়ের পূর্বে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বিএনপির এক হেবিওয়েট নেতার ভাইয়ের সাথে গোপন বৈঠক করেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্না একটি ফেসবুক পোস্টও দেন।
ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- আমাকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের জ্বাল বুনছে,রাখে আল্লাহ মারেকে,মিটিং মিজান ফরচুন সু কোম্পানির উপস্থিত মজিবুর রহমান সরোয়ার চাচার ভাই অহেদ কাক্কু,আমি কিন্তু সাধারন মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে যাবো এতে মামলা দশটা হলেও কিছুনা, আমার সহোযোদ্ধা ভাই ও বোনেরা তোমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হও।তোমাদের ন্যায অধিকার আদায়ে প্রস্তুত থাকো।তোমাদের মন্তব্য জানাও।করোনার মধ্যে সকল কম্পানি বন্ধের মধ্যেও এই কম্পানি চলোমান ছিলো, কোথায় শক্তি।।
রইজ আহমেদ মান্নার পোস্টটিতে নানান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অনেকেই কমেন্ট করেন……
এর মধ্যে A. Z. Fahim নামের এক লোক কমেন্ট করেন কাউনিয়ার কাক্কুর লগে বটতলার আরেক কাক্কুরে ও টাকা দিছে নির্বাচন ৫০ লক্ষ অই কাক্কু নদীর কুলে কুলে দৌড়ায়………. পানির ২ কুলে ২ কাক্কু, মাঝখানে মুচি কাক্কু।
Sheik Tarikul Islam Suza নামের আরেকটি আইডি দিয়ে কমেন্ট করা হয়- কু… মিজান, লু…. মিজান, বাট… মিজান, বি,এন,পি দালাল, ওরে জু.. পিটা করা উচিৎ, ওরে জু.. মালা গলায় দিয়ে বরিশালের সব যায়গায় গুরানো উচিৎ। ও হইলো কু… বা… ওরে মেথর দিয়ে ঝা… … মেখে পিটানো উচিৎ।
Saiful Islam Shifat নামে আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়- ফরচুন কোম্পানির মালিক(মু.. মিজান) বিএনপি জামায়েতের অর্থের যোগান দাতা।
Mizanur Rahman Sabbir নামেরা আরেকটি আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়- ভাই আমার বাবা ওদের কাছে ২ লাখ টাকা পাইবে, ওই ভবন আমার বাবা কনটাকে উঠাইছে কিন্তু তারা খমোতা দেখাইয়া টাকাটা আর দেয়না আরো খারাপ আচারন করে।
Megha Mehela নামের একটি আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়- মান্না আমরা তার কাছে টাকা পাই উনি আমাদের টাকা দেয় না।
অপরদিকে এই মিথ্যা মামলার সাক্ষি মোঃ বাবুল ও মোঃ মনিরুজ্জামান লাভলু কিছু জানেনই সেদিন কি ঘটেছিল। তারা ঘটনাস্থলে ছিল না বলেন স্বিকার করেছে।