লঞ্চের ছাদে যাত্রী পরিবহন করার অভিযোগে চারটি লঞ্চকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসা।
এদিকে, লঞ্চগুলো যাতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সে জন্য বারবার বিআইডব্লিউটিএর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে মাইকে সতর্কবাণী প্রচার করছে নৌপুলিশ। এছাড়া যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছে ফায়ার সার্ভিস।
তবে যাত্রীদের এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার রাতে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়। জানা গেছে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে লঞ্চগুলো। ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় চারটি লঞ্চকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিকেল পৌনে ৪টার সময় সদরঘাট ছেড়ে যায় ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়াগামী লঞ্চ ফারহান-৫।
এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে ফারহান-৫ ও ভোলার চরফ্যাশনের আয়েশাবাগগামী কর্ণফুলী-১২ লঞ্চকে ভ্রাম্যমাণ আদালত যথাক্রমে ২০ হাজার ও ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বরিশালগামী পারাবত-৯ ও সুন্দরবন-১০ লঞ্চ দুটিকেও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে ১০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তবে জরিমানা করে লঞ্চগুলো থেকে যাত্রীদের নামাতে দেখা যায়নি।