১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয়করণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী: এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের নেতৃত্বে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের একদফা দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে। ১০ মার্চ হতে ১৪ মার্চ প্রতীকী অনশন পালন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। সমগ্র দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিনিধিবৃন্দ এ আন্দোলনে প্রতিদিনই অংশ গ্রহণ করছে। আজ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছে শিক্ষক-কর্মচারীরা । শিক্ষকরা জাতীয়করণের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রেসক্লাবের অনশনের পাশাপাশি ১২ তারিখ হতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি ১৬ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। জোটের আহবায়ক অধ্যক্ষ মাইন উদ্দীন ও সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে তিনি তাঁর উক্তি “শিক্ষার জন্য ব্যয় উত্তম বিনিয়োগ” এর বাস্তব প্রমান রেখেছেন। শুধুতা-ই নয় তিনি সে সময় বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ২৫ টাকার মাসিক বেতন কে ৫০ টাকায় উন্নীত করেন, কলেজ শাখার শিক্ষকদের ৫০ টাকার বেতনকে ১০০ টাকায় উন্নীত করেন; কর্মচারীদের জন্য রেশনিং এর ব্যবস্থা করেন। একজন রাষ্ট্র নায়ক কতটুকু বিচক্ষণ ও শিক্ষা বান্ধব হলে সদ্য স্বাধীন দেশ ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার জন্য এতো বড়ো পদক্ষেপ নিতে পারেন। বর্তমানে এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও অধ্যক্ষগণ ২০০৪ খ্রিঃ থেকে মূল বেতনের ২৫% উৎসব ভাতা পায়, কর্মচারী থেকে অধ্যক্ষ পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া পায় মাসিক নির্ধারিত ১০০০/- টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা পায় মাসিক নির্ধারিত ৫০০/-টাকা। ভারত উপমহাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও এমন নজির শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আছে বলে শিক্ষকদের জানা নাই। উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার জন্য সরকার যদি প্রতি অর্থ বছরে দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে তাহলে অনায়াসেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা সম্ভব। সরকারের ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে এ অর্থ বরাদ্দ করতে সমস্যা কোথায় এ প্রশ্ন সুশীল সমাজ ও শিক্ষকদের। জোটের যুগ্ম-আহবায়ক- ১ অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীগণ আজ ২০ রাজপথে । কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারের কোন মহল শিক্ষকদের সাথে কোন আলোচনা আজও করেনি যা দুঃখজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। বিশেষ করে শিক্ষকদের শ্রেণি কক্ষের পরিবর্তে রাজপথে থাকা একেবারেই বেমানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আশা করবো তিনি দ্রুতই শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবেন এবং শিক্ষকদের শ্রেণি কক্ষে ফিরাবেন।

দেশের শিক্ষকগণ ১২, ১৩, ১৪ ১৫ মার্চ কর্মবিরতি পালন করায় জোটের পক্ষ থেকে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানানো হয়। সারা দেশ থেকে আন্দোলনে আগত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন, শাহ আলম, রফিকুল ইসলাম, আবু রায়হান, অধ্যক্ষ রুহুল আমীন, মোঃ মহসীন, ঝর্ণা বিশ্বাস, ইমরান হোসেন, আবুল বাশার, জহিরুল ইসলাম, ফরিদ উদ্দিন, আমান উল্লাহ, আফজালুর

রশিদ, মোঃ শাহ আলম, বেনীমাধব দেবনাথ, রতন কুমার দেবনাথ, আবুল বাশার নাদিম, মামুনুর রশিদ, মাইনউদ্দীন প্রিন্স, জিএম শাওন,

কামরুজ্জামান চৌধুরী, আবুতালেব সোহাগ, নজরুল ইসলাম,তোফায়েল সরকার, মোঃ রবিউল, গোলাম মোস্তফা, ফয়েজ আহমেদ, শেখ নজরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক ও আবু ইউসুফসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ