২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহ সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ও মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক গতকালের কুমিল্লা চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুজামন্ডপ, প্রতিমা ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ এবং বাড়ীঘরে হামলা লুঠপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার এর দাবী জানিয়ে পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশার্থে নি¤েœাক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
গতকাল ১৩ অক্টোবর ২০২১ বুধবার কুমিল্লার কান্দিরপাড় একটি দূর্গাপুজা মন্ডপের গেটে একটি কুচক্রী মহল হনুমান মুর্তির কোলের উপরে কোরান রেখে এবং তা ফেসবুক সহ নান মাধ্যমে প্রচার করে ধর্ম অবমাননার অযুহাতে কুমিল্লা, চাঁদপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীর হাতিয়া, চাপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুজা মন্ডপ ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর, মহিলাদের শ্লিলতাহানী, পথে ঘাটে পুজার্থীদের ধাওয়া, পিটিয়ে আহত করে দেশে এক ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। চাঁদপুরে প্রতিমা পাহারারত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের হামলায় হিন্দু যুব মহাজোটের সহ সাংগঠণিক সম্পাদক স্কুল শিক্ষক মানিক সাহাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সারাদেশে শতাধিক পুজা মন্ডপ ধ্বংস করা হয়েছে। কোথাও কোথাও প্রতিমা রাস্তায় এনে ভাংচুর করে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ভীতিকর ছিল যে, তা স্মরণাতীতকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। রাতভর গ্রামের পর গ্রাম হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। হিন্দুরা বাড়ী ঘর ফেলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। নারী ও শিশুর আর্তচিৎকারে আকাশ বাতাশ ভাড়ী হয়ে উঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এই ঘটনা মধ্যযুগের বর্বতাকেও হার মানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও ঘটনা পর্যালোচনা করে বিবৃতিতে বলেন “আমরা মনে করে একটি কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার দাবী করছি ও মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার দাবী করছি। অন্যথায় হিন্দু মহাজোট সারাদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এর ডাক দেবে।”
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন অর্তীতে ধর্ম অবমানার মিথ্য অযুহাতে নাসিরনগর, রাউজান, ফটিকছড়ি, কক্সবাজার, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, যশোরের অভয়নগর খুলনার শিয়ালী সহ কয়েকডজন ঘটনা ঘটলেও সেসব ঘটনার বিচার হয় নাই, আসামীদের শাস্তি বিধান করা হয় নাই। যে কারনে বার বার এমন ঘটনা ঘটছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধান জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূণঃ প্রবর্তন ও একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার দাবী করেন।

সর্বশেষ