২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার চরকাউয়ায় যুবলীগ নেতা খান মামুনের গণসংযোগ বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতের তাবেদার সরকার শাসন করছে : বরিশালে ভিপি নুর বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, ইমামের কক্ষে আগুন উজিরপুরে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার কাউখালীতে পাটি খাতে রূপালী ব্যাংকের ক্লাস্টার ভিত্তিক ঋণ বিতরণ বিআরডিবি'র কার্যক্রম পরিদর্শনে সচিববৃন্দ মনপুরায়, কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠক বরিশালে ‘সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহর রক্ষা বাধ দখলের মহোৎসব উজিরপুরে মাদকসহ জেলা ডিবি'র খাচায় ১ মাদক কারবারী আটক রাজাপুরে নিখোজ ভ্যান চালকের লাশ ভাসছিলো নদীতে

জোয়ারের পানিতে চরফ্যাশনের চরাঞ্চল প্লাবিত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এম লোকমান হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার চর হাসিনা, চরকুকরি-মুকরি, চর পাতিলা, ঢালচর, জাহানপুরের মাওলানা ভাসানী আশ্রয় কেন্দ্র, শিকদারের চরসহ অসংখ্য চর প্লাবিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দুই দিনের (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারের কারনে অধিকাংশ চরাঞ্চল এলাকা ডুবে গেছে। রাস্তা, বাড়ি, পুকুর পানির নিচে রয়েছে। সবজির খামার, মাছের ঘের ও জাহানপুর মাওলানা ভাসানী আশ্রয়ণ কেন্দ্র কোনটাই রক্ষা পায়নি জোয়ারের পানি থেকে।

চর পাতিলার স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ হোসেন সাংবাদিককে জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি উঠে আমাদের বসতভিটাসহ সব ডুবে গেছে। চুলায় রান্না-বান্না করাও সম্ভব হচ্ছে না। খেয়ে না খেয়ে মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। প্রতিদিন দুই দফায় জোয়ারের পানি উঠানামায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।

জাহানপুর মাওলানা ভাসানী আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, বেড়িবাঁধের বাহিরে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ৮০টি পরিবারে প্রায় ৫ শত মানুষ জোয়ারের পানিতে বন্দী হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। প্রকল্পটির চারপাশে উঁচু করে বাদ দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন বসবাসকারী বাসিন্দারা।

কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, সিডর, আইলা, নার্গিস, আম্ফানসহ প্রতিটি দুর্যোগে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার জনগণ। বেড়িবাঁধ না থাকায় খুব সহজেই বন্যা বা জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে গ্রামে। নেই প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র। বর্তমানে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন প্রকারের খামার, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। অসহায় হয়ে পড়েছে অধিকাংশ মানুষ।

সর্বশেষ