১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝালকাঠিতে চেয়ারম্যান বাহিনীর হামলায় আহত ইউপি সদস্য হারুন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝালকাঠিতে চেয়ারম্যান বাহিনীর হামলায় আহত ইউপি সদস্য হারুন, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হাসপাতালে। সূত্রে জানাযায়, গত রবিবার বেলা ২টার দিকে ইউপি সদস্য মো: তারিকুল ইসলাম হারুনকে বায়নের হাট সংলগ্ন ব্রীজের উত্তর পাড় হতে ধরে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বেধরক পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় চেয়ারম্যান বাহিনীর সদস্যরা। আহত তারিকুলকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে স্থানীয়রা।
সূত্রে জানাযায়, ইউপি সদস্য মো: তারিকুল ইসলাম হারুন ঝালকাঠি জেলার গাভা রামচন্দ্রপুর ইউপি’র ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ২ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক সভাপতি। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম সেরওয়ানী’র বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরোধীতা করায় হারুনের উপর তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষুব্ধ।
ইউপি সদস্য হারুনের পারিবারিক বাটোয়ারা মামলা নিস্পতি হওয়ার আগেই ঘর উত্তোলনের কাজ শুরু করে বাদী পক্ষের স্বজনেরা। আদালতের অনুমতি ব্যতিত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম সেরওয়ানী’র স্মরাপন্ন হয় বিবাদী ইউপি সদস্য হারুন।
চেয়ারম্যান পক্ষ অভলম্বন করে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করে।
ঘটনার দিন ইউপি সদস্য হারুন চেয়ারম্যানকে বিরোধপূর্ণ জমির কাগজপত্র দেখাতে যায় ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে চেয়ারম্যানের রুমে স্থানীয় কতিপয় যুবক অবস্থান করায় হারুন পরিষদ ত্যাগ করে। ইউপি সদস্য হারুন বাড়ী ফেরার পথে বিরোধপূর্ণ জমির মামলার বাদী এনামুল হক জহিরুল, শাহিন আলম লস্কর, রিয়াজ মুন্সি, জসিম ঘরামী সহ ৮/১০ জনার একটি বাহিনী ৪/৫ টি মটর সাইকেল যোগে এসে জোড়পূর্বক হারুনকে ম্যাজিক গাড়ীতে তুলে নেয়। তারা গাড়ীতে বসে হারুনকে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে।
ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি গেলে তাকে চর থাপ্পর মেরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নামিয়ে লোহার রড় দিয়ে হারুনের মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করে এই বাহিনী। এই সময় হারুনের সঙ্গে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা ফাইলে ভর্তি বাড়ীর বিরোধপূর্ণ জমির কাগজপত্র, ব্যাংকের চেক, এলজিইডি’র লাইসেন্স ‘ মেসার্স রুদ্র এন্ড রুহিত ট্রেডার্স’ সহ ট্রেড লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায় তারা। হারুন ডাক চিৎকার করলে তাকে জীবনের তরে শেষ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে চেয়ারম্যান বাহিনী। ঝালকাঠি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, হারুনের অবস্থা আশংকা জনক। মাথায় আঘাত কয়েকদিন না গেলে কিছু বলা যায় না।
ইউপি সদস্য হারুন বলেন,‘ আমাকে যারা মেরেছে তারা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত বাহিনীর লোক। আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সুস্থ হয়ে ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতের দারস্থ হবো।’
এব্যাপারে গাভা রামচন্দ্র পুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম সেরওয়ানী বলেন, ‘ আমি মারামারির খবর শুনেছি এবং ইউপি সদস্য হারুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাও শুনেছি। হারুনের সাথে যাদের মারামারি হয়েছে তারা আমার লোক নয়, তারা হারুনের লোক।’

সর্বশেষ