ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ঝালকাঠিতে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন পালনে মৎস্য বিভাগের উদাসীনতার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন অনেকেই। মৎস্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মা ইলিশ নিধন বিরোধী অভিযানে নদীতে থাকায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ায় সঠিকভাবে কাজটি করেননি। ফুলের তোড়া বিক্রেতা আমাদের সাথে প্রতারণা করছেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক শেখ রাসেল দিবস পালনের আয়োজন করে। শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে প্রথমেই পুষ্পার্ঘ দিয়েছেন আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক, শিল্পমন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক শিল্প ও খাদ্যমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি।
এরপরে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠি জেলা ইউনিটের পুষ্পার্ঘে (ফুলের তোড়া) শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলী লেখার পরে সংগঠনের নামের স্থানে সাদা কাগজে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় লিখে চাপিয়ে দিয়ে অর্পন করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রদ্ধাঞ্জলীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের পুষ্পার্ঘ অর্পনের ঘষায় সে কাগজটি উঠে গেলে বেরিয়ে যায় মৎস্য বিভাগের উদাসীনতায় লুকোচুরির বিষয়টি। এতে দলীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমন উদাসীনতা এবং অবহেলায় পুষ্পার্ঘ অর্পন করা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, মা ইলিশ নিধন বিরোধী অভিযানে দিন রাত নদীতেই থাকতে হচ্ছে। রাতে ব্যস্ততায় ফুলের তোড়া তৈরীর নির্দেশনা দেয়ার সময় হয়নি। তাই সকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিয়াজকে বলেছি একটি ফুলের তোড়া তৈরী করে নেয়ার জন্য। তিনি ফুল বিক্রেতা মতির কাছে এক হাজার টাকা দিয়ে ফুলের তোড়াটি নিয়েছেন। ব্যস্ততার কারণে অতোটা খেয়াল করেন নি। পরে ফেসবুকে ভিডিওটি দেখে তাকে (উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিয়াজ) বলেছি এভাবে করার কারণে ভিডিওটি ফেসবুকে চলে গেছে। আপনি এভাবে দায়সারা কাজ না করে আমাকে বিষ খাইয়ে মারতে পারতে। তাহলে আমাকে আর এভাবে অপমানিত হতে হতো না।’