১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাজারে মানুষের ভিড়

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকার ঘোষিত দেশব্যপী সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে ঝালকাঠির অবস্থা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। লকডাউন উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এখানকার মানুষ ভিড় করছে বাজারে।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে এমন চিত্রই দেখা গেছে ঝালকাঠির বাজারগুলোতে।

এদিকে রাস্তা খালি রাখতে গত দুদিন কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শহরের প্রবেশদ্বার এবং প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশি টহল চোখে পড়ার মত থাকলেও শুক্রবার তা ছিলো শিথিল।

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এবং বিনা কারণে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। আর এ কারণে রাস্তা কিছুটা ফাঁকা। তবে শুক্রবারে বাজারের ভিতরের দৃশ্য ছিলো পুরোটাই উল্টো। এ যেনো ঈদের বাজার। ঘরমুখী সচেতনরা বলছেন, করোনায় আক্রান্তকে নয়, নগদ জরিমানা এবং পুলিশের টহলকেই ভয় পাচ্ছে এখানকার জন সাধারণ।

স্কুল শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া মানুষ পুলিশ দেখলেই আড়ালে লুকায়। পুলিশ চলে গেলেই মুখ থেকে মাস্কটাও খুলে ফেলে।’

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট এবং জরিমানাকে মানুষ যতটা ভয় করে, তার অর্ধেকটাও যদি নিজের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ভয় করতো, তাহলে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসতো।’

শুক্রবার ঝালকাঠির বড় বাজার ও চাঁদকাঠি চৌমাথা বাজার, সাধনার মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, কলেজ মোড় ও লঞ্চঘাট এলাকায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, ‘লকডাউন সর্বাত্মকভাবে পালনে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাস্ক ব্যাবহার না করা এবং সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে প্রতিদিনই নগদ জরিমানা এবং মামলা করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুজ্জামান ও মিলন চাকমা সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন।’

সর্বশেষ