২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও গভর্নর নিহ*ত নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ: ফিলি*স্তিনে গ*ণহ*ত্যা বন্ধের দাবী দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ঝালকাঠির শিক্ষা কর্মকর্তার বরিশালে ১০০তলা বাড়ি, তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) খোন্দকার জসিম আহমেদের দুর্নীতি অনিয়ম ও বরিশালে ১০ তলা ভবন নির্মানের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার সহকারী পরিচালক (উপবৃত্তি) মো. কবির উদ্দিনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে খোন্দকার জসিম আহমেদের বিরুদ্ধে সংশ্লিস্টদের সাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে অভিযোগকারী ও সংশ্লিস্টদের উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় খোন্দকার জসিম আহমেদ এর নানা অনিয়ম এবং বরিশাল শহরে করিম কুটির এলাকায় ছয়তলা আলিশান ভবন নির্মানের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং বরিশাল জর্ডন রোড নিবাসি সাংবাদিক বায়েজিদ আহমেদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. কবির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেন। কবির উদ্দিন অভিযোগকারী বায়েজিদ আহমেদকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠি ডিপিও অফিসে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।

উল্লেখ- ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে খোন্দকার জসিম আহমেদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে ঝালকাঠিতে যোগদানের পর থেকে শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা পয়সা আদায় শুরু করেন। অনলাইনে শিক্ষক বদলীতে অনিয়ম, ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দে স্কুল প্রতি টাকা আদায়, শিক্ষকদের পাসপোর্ট করার অনুমতিতে টাকা গ্রহণসহ নানা অভিযোগে ১৫ জন প্রাথমিক শিক্ষক জসিম আহমেদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছিল।

এ অভিযোগের বিষয়ে সহকারী পরিচালক অর্থ মো. নুরুল ইসলাম ২০২৩ সালের ৫ মার্চ ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্তরে জন্য এসেছিলেন। অভিযোগকারী শিক্ষকরা জসিম আহমেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দেন। খোন্দকার জসিম আহমেদের অবৈধ অর্থের প্রভাবে সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের তদন্ত রিপোর্ট গত এক বছরেও প্রকাশ করা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝালকাঠির একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, খোন্দকার জসিম আহমেদ ঝালকাঠিতে যোগদান করেছে প্রায় তিন বছর হলো। তাঁর ২০২৬ সালে অবসরে যাওয়ার কথা। তিনি সব সময় দম্ভোক্তি করে বলেন, যত অনিয়মই করি, আমাকে ২০২৬ সালের আগে কেউ ঝালকাঠি থেকে সরাতে পারবে না। উপর থেকে এ চুক্তি করেই এসেছি।

অভিযোগকারী বরিশাল জর্ডন রোডের বাসিন্দা সাংবাদিক বায়েজিদ আহম্মেদ বলেন, নানা ধরনের চাপ উপেক্ষা করে আমি সাক্ষ্য দিতে যাবো। সত্য ঘটনা তথ্য প্রমানসহ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরবো।

অভিযুক্ত খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি বৈধভাবে বাড়ি করছি। তার কাগজপত্র আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরবো।’’

সর্বশেষ