১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টেস্ট করতে চাননা শেবাচিম কর্তৃপক্ষ ! বাসায় থাকা রোগীদের খোঁজ নেননা সিভিল সার্জন !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মামুন-অর-রশিদ:

করোনা উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে টেস্ট করাতে গেলে নানা অজুহাতে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উল্টো অন্যান্য টেস্ট করে আর্থিক ভোগান্তিতে ফালানো হয়। অপরদিকে করোনা পজিটিভ রোগীদের যারা বাসায় থেকে আইসোলেশন করছেন তাদের খোঁজ খবর নেননা জেলা সিভিল সার্জন। ফলে বরিশালে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও করোনা চিকিৎসায় দেখা দিয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা। এমন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সভা করে এর প্রতিকারে ৬ দফা দাবী ঘোষণা করেছে ‘জনস্বার্থ রক্ষা কমিটি’ নামে একটি সংগঠন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় ফকিরবাড়ি রোডস্থ শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে এই কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রনজিৎ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ও জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মুনওয়ারুল ইসলাম অলির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল আলম আসাদ, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মানিক মৃধা, বেলা বরিশাল জেলা কমিটির সমন্বয়ক লিংকন বায়েন, প্রভাষক  স্নেহাংশু বিশ্বাস ও প্রভাষক কামাল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

দাবীসমূহ ঃ
১। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষাগারে টেকনিশিয়ানের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বিভাগের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন।
২। বিভাগের সকল করোনা রোগীদেরকে জেলার সিভিল সার্জন অফিস হতে রোগীদেরকে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান ও নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা।
৩। অভ্যন্তরীণ ও আন্ত:জেলা সহ সকল বাসের ভাড়া কমানোর পুন:র্বিবেচনা করা ও লঞ্চের ডেক এর আয়তন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ যাত্রী বহন ও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি না করা।
৪। অন্ততপক্ষে ৩ স্তর বিশিষ্ট মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সাধারণ জনগণের মাঝে মাস্ক সরবরাহ করা এবং বাজার হতে ৩ স্তর ব্যতীত সকল মাস্ক প্রত্যাহার করা।
৫। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, শাক সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬। ঢাকা ও বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দর গুলোতে লঞ্চ ও স্টীমার ঘাটে প্রবেশকালে যাত্রীদের কাছ থেকে যে প্রবেশ ফি আদায় করা হয় সম্প্রতি বরিশাল ও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বন্দরে পূর্বের ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা আদায় করার প্রতিবাদ জানানো সহ উক্ত প্রবেশ ফি সম্পূর্ণরূপে স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবী ।

সর্বশেষ