২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
উজিরপুরের ৫ ইউনিয়নের শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা। শনিবারও খোলা থাকবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খাল ও ড্রেন পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব : মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আমতলীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে কোপালো স্বামী গৌরনদীতে সিএইচসিপি’র বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ভোলায় ডাকঘরে পোস্ট মাস্টারের আইসক্রিম ডিলারের ব্যবসা উজিরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫ তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে আমতলীতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় ফেরিতে থাকা ৪ মোটরসাইকেল নদীতে বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ : ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন

তালতলীতে কাজ শেষ না হতেই দেবে গেল কালভার্ট

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার তালতলীতে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণাধীন অবস্থায় দেবে গেছে। উপজেলার করইবারিয়া ইউনিয়নের ঝারাখালী গ্রামে এলজিইডির আওতায় এই বস্ক কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের ইট, নরম কাদামাটির ওপর কালভার্টের ভিত্তিস্থাপন, খালের নোনা পানি দিয়ে সিমেন্ট ও বালির মিশ্রণে ঢালাইসহ নানা ধরনের অনিয়মের মধ্য দিয়েই কালভার্টটি নির্মিত হচ্ছিল। কিন্তু কালভার্টের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হতেই দেবে গেছে এটির একপাশ। ফলে যেকোনো মুহূর্তে কালভার্টটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝারাখালী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের জন্য এখানে একটি আয়রন ব্রিজ ছিল। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওই ব্রিজ নির্মাণের ২ বছর পরই দেবে গিয়ে ভেঙে যায়।

এখন এই কালভার্ট নির্মাণেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী কয়েকবার বাধা দিলেও ইঞ্জিনিয়ার আহম্মদ আলী কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঠিকাদারের পক্ষ নিচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বর্তমানে নির্মাণাধীন ওই কালভার্টের পশ্চিম দিক থেকে প্রায় দুই থেকে তিন ইঞ্চি দেবে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জসিম মোল্লা বলেন, কালভার্টটি নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে। এখন কাজ শেষ না হতেই পশ্চিম দিক দেবে গেছে। যে অবস্থা তাতে এক বছরও টিকবে না। এই কালভার্ট এ বছর আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতেই ভেসে যাবে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মো. বাদশার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, ঘটনাটি আমি জানি না, তবে খোঁজ নিয়ে জানাব। সেখানে যদি ঠিকাদারের কোনো স্বেচ্ছাচারিতা থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বরগুনা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনই খোঁজ খবর নিচ্ছি। যদি কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সর্বশেষ