হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলীতে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আঃ সোবাহান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে ধর্ষণ অভিযোগে তালতলী থানায় দায়েরকৃত মামলার পুলিশ ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেন। আজ (শুক্রবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লালুপাড়া এলাকার মৃত মোঃ আবুল কাশেম মাস্টারের পুত্র আঃ সোবাহান হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে ফকিরহাট বাজারে মুদি মনোহরী দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। ওই বাজারের পাশেই ইদুপাড়া এলাকার দিনমজুর আবুল কালামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া ১১ বছরের একটি মেয়ে গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার দোকানে বাজার করতে যায়। এসময় ব্যবসায়ী আঃ সোবহান মেয়েটিকে ডেকে কৌশলে দোকানের পিছনে থাকা একটি রুমে নিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধস্তাধস্তিতে মেয়েটির মুখের বাঁধন খুলে গেলে সে সময় ওই দোকানে বাজার সদয় কিনকে আসা স্থানীয় শাকিল নামের এক যুবক শিশুটির ডাক চিৎকার ও কান্নার শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার করেন। ওই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য যুবক শাকিলকে হুমকি দেয় ধর্ষক বৃদ্ধ আঃ সোবাহান। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিম পরিবারের সাথে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পরে আঃ সোবাহান তার লোকজন নিয়ে শাকিলকে সন্দেহ করে পিটিয়ে করে আহত করে। আহত শাকিলকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতেই ধর্ষণের স্বীকার হওয়া শিশুটির বাবা দিন মজুর আবুল কালাম তালতলী থানায় বৃদ্ধ আঃ সোবাহান হাওলাদারকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রাতেই ধর্ষক আঃ সোবাহানকে ফকিরহাট বাজার থেকে গ্রেফতার করে। আজ (শুক্রবার) আদালতের মাধ্যমে তাকে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির মা কান্না কণ্ঠে বলেন, আমার ছোট্ট মেয়েটির সাথে যে লোকটি ন্যাক্কারজনক ও নোংরা ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
