২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে অভয়াশ্রমের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ৮ জেলেকে জরিমানা বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে দুটি মৃত কচ্ছপ বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হলেন কবি বিজন বেপারী রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে এসএম জাকিরের মতবিনিময় সুধীজনদের সন্মানে  চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ইফতার মাহফিল  হার্ডলাইনে পুলিশঃ এবার বরিশালে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য চলবেনা রোজা রেখে মুখের দুর্গন্ধ এড়াবেন যেভাবে বাসায় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া, সিদ্ধান্ত মেডিকেল বোর্ডের

তালতলীতে ধসে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর, নির্মাণকাজে অনিয়ম!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার তালতলীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নির্মানাধীন ঘর ধসে পড়ার ঘটনায় নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নামমাত্র কাজ করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা, কাজের ব্যবহৃত সকল মালামালের মান খুবই নিম্ন। তবে এই অনিয়মের দায়ভার নিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কেউই।

বরগুনার তালতলী উপজেলার বেহালা গ্রাম। এই গ্রামের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা বিধবা উর্মিলা রানী। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘর পেয়েছেন তিনি। উর্মিলার ঘরটি গত ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দু’বার ধসে পড়ে ঘরটি। দ্বিতীয় দফায় বুধবার সকালে দেয়াল ভেঙে পড়লে অল্পের জন্য বেঁচে যান ৬৫ বছর বয়সী উর্মিলা। তার অভিযোগ, ইটের মান খুবই খারাপ, দেয়াল গাঁথুনির সময়ও গভীরতা ও মাটি ভরাট নিয়ে আপত্তি তুললেও উল্টো তাকে ধমক দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকে নতুন ঘর নিয়ে শঙ্কিত অন্যরাও। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও দায়সারা কাজের ফলে ঘরগুলো মজবুত হয়নি। যেকোনো মুহূর্তেই ভেঙে পড়তে পারে এগুলো, ঘটতে পারে হতাহতের ঘটনা। কমপক্ষে তিন ফুট গভীরতায় ইটের গাঁথুনি থাকার কথা। সেখানে এক ফুটেরও কম গভীর থেকে ইটের গাঁথুনি দিয়ে দেয়াল তোলা হয়েছে। একইভাবে প্রতিটি ঘরেরই মাটির নিচে এমন গাঁথুনি। মালামাল পরিবহনের জন্যও সুবিধাভোগীদের কাছে চাওয়া হয়েছে টাকা। নামমাত্র কাজ করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় যার জমি আছে, ঘর নেই, তার জমিতে ঘর করে দিতে বরগুনার তালতলী উপজেলায় ১৭ কোটি ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দ থেকে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১০০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। কাজের তদারকির দায়িত্ব ছিল তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুনু বেগমের। তবে ঘর ভেঙে পড়ার পর কেউই দায় নিতে রাজি নয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুনু বেগম বলেছেন, সবকিছু ইউএনও দেখছেন তিনিই এ বিষয়ে কথা বলবেন। দায় না নিলেও ইউএনও বলছেন, সমস্যা সমাধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ