২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে কোপালো স্বামী গৌরনদীতে সিএইচসিপি’র বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ভোলায় ডাকঘরে পোস্ট মাস্টারের আইসক্রিম ডিলারের ব্যবসা উজিরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫ তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে আমতলীতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় ফেরিতে থাকা ৪ মোটরসাইকেল নদীতে বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ : ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন পটুয়াখালীতে তীব্র দাবদাহ ও খরা থেকে মুক্তি পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে বাস সহায়তা দেবে ববি কর্তৃপক্ষ বরিশালে ভোট কেন্দ্রে থাকছে না সিসি ক্যামেরা

তালতলীতে নিরীহ মানুষদের হয়রানীঃ ওসির বিরূদ্ধে মানববন্ধন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলীতে নোথায়ং মগ নামে এক রাখাইনের মৃত্যুদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে কোন অভিযোগ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এলাকার দরিদ্র ও নিরীহ ইউনুচ ও ইউসুফ নামক দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের পরিবারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও তাদের রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করার স্বীকারোক্তি আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নামিশেপাড়ার সড়কে ওই এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ বরগুনা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি খন্দকার জাকির হোসেন ও এসআই আশরাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২২ জুন উপজেলার নামিশেপাড়ায় নোথায়ং মং নামের এক রাখাইনের অর্ধগলিত লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে তালতলী থানা পুলিশ। পরে ওই রাখাইনের নাতি জোয়েন মং বাদী হয়ে একই এলাকার শাহআলম মীর, ইলিয়াস মীর, আল-আমিন মীর ও মোঃ নজরুল ইসলামকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি স্থগিত (এ্যাষ্টে) করায় আফ্রুসে রাখাইন বাদী হয়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত একটি ফৌজদারী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ফৌজদারী রিভিশন মামলাটি শুনানির পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জোয়েন মগের মামলার সাথে সংযুক্ত করে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর বিভিন্ন অভিযোগে পরিপেক্ষিতে মামলাটি ডিবিকে তদন্ত করার জন্য আদালত নির্দেশ প্রদান করেন। জোয়েন ও বাদী আফ্রুসে মগের দায়ের করা অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কোন কারন ছাড়াই এলাকার নীরিহ ও দরিদ্র ইউসুফ মুন্সী এবং ইউনুচ মুন্সীকে গত ১৫ নভেম্বরে আটক করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি খন্দকার জাকির হোসেন ও এসআই আশরাফ হোসেন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েও আদালতের মাধ্যমে দু’ভাইকে রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক হত্যা মামলায় দায় স্বীকার করান বলে অভিযোগ করেন তাদের পরিবার।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে আটক ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীর ছোট ভাই ইদ্রিস মুন্সী বলেন, রিমান্ডে নির্যাতন না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবী করলে তাদেরকে দু’জনকে আমি ৪০ হাজার টাকা প্রদান করি। এরপরেও রিমান্ডে নিয়ে আমার দু’ভাইদের পুরুষাঙ্গে গলিত মোম ও অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা মামলার স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তা শহিদ মিয়া বলেন, এলাকায় নিরীহ লোকদের ডিবির ওসি জাকির ও এসআই আশরাফ মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভিন্ন সময়ে হয়রানি করে আসছে। তাদের হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছে মানববন্ধনে আসা প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ। ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীর দ্রুত মুক্তি দাবী করেন তারা।
এ বিষয়ে ডিবির ওসি খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এনে মানববন্ধর করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি হত্যা মামলার তদন্তে প্রমান পেয়ে দু’ভাই ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কোনো ধরনের নির্যাতন ও পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।
বরগুনা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক মুঠোফোনে বলেন, এবিষয়ে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ