১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালতলী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। চিকিৎসকদের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মূমুর্ষ রোগিদের ভর্তির জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসলেও অনেক সময় চিকিৎসকদের পাওয়া যাচ্ছেনা বলে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
জানাগেছে, গত কয়েক দিনে করোনা মহামারীর সাথে সাথে ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এ হাসপাতালে ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত ১০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর এখন হাসপাতালে যে কয়জন রোগী ভর্তি রয়েছেন সকল রোগীই কিন্ত ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত।
রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, ভর্তি রোগীরা এ হাসপাতাল থেকে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত ডিউটি করেন না। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা হাসপাতালে রোগী নিয়ে বসে থাকলেও কোন চিকিৎসকের খোঁজ মেলে না। সেই সাথে হাপাতালের প্রতিটি কক্ষে ময়লা-অবর্জনাসহ নোংড়া পরিবেশ বিরাজ করছে। এ সকল কক্ষ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। রোগীদের ববহৃত টয়লেট বাথরুমগুলো একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাথরুম ব্যবহারের জন্য নেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা। এতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সাথে আসা সুস্থ্য মানুষজনও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।
ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত নুসরাত জাহান (৬) এর বাবা কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯ টায় আমার মেয়ে বাড়ীতে বসে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়। আজ (বুধবার) সকাল ৭ টার দিকে আমার স্ত্রী অসুস্থ্য মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে। সে সময় হাসপাতালে কর্মরত ৫ জন চিকিৎসকের কেহই হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে আমার স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সকাল ১০ টার দিকে মুঠোফোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানাই। তারা দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে একে একে সকল চিকিৎসকরা হাসপাতালে উপস্থিত হতে থাকেন। এ সময় হাসপাতালে কর্মরত উপস্থিত ৫ জন চিকিৎসকদের উপস্থিতিতেই উপরোক্ত বিষয় জানতে চাইলে তারা এ বিষয় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলেন, এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া আমাদের কিছু বলার নেই।
তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন রোগীই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসানের সাথে মুঠোফোনে জানতে এ বিষয়ে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞেষ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোনায়েম সাদ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। মহামারী করোনার মধ্যে রোগীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসে সঠিক চিকিৎসা ও চিকিৎসক পাবেনা সেটা হতে পারে না। বিষয়টি আমি জেনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

সর্বশেষ