১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তেঁতুলিয়া নদীভাঙন রোধে একনেকে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :: প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর করাল গ্রাস থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নকে রক্ষার জন্য একনেকের বৈঠকে ৭৫০ কোটি ২১ লাখ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের একনেকের পঞ্চম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

অনুমোদনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়ন ও বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশা ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। এজন্য তারা প্রদানমন্ত্রী ও বাউফলের এমপি আ.স.ম. ফিরোজকে দোয়া করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে বাউফলের ধুলিয়া ও নাজিরপুর ইউনিয়ন ও বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশা ইউনিয়ন বিলিন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যে শত শত পরিবার তাদের সর্বস্বঃ হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাটবাজার, মন্দির, কবরস্থানসহ অনেক স্থাপণা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হাত থেকে জাতীয় পর্যায়ের অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিদের কবরস্থানও রক্ষা পায়নি। মানচিত্র থেকে ধুলিয়া ও দুর্গাপাশা ইউনিয়ন হারিয়ে যাচ্ছিল।

বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে আনার জন্য ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ মে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ শামীম, জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ স্থানীয় এমপি আ.স.ম. ফিরোজ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অবঃ মেজর জেনারেল হাফেজ মল্লিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক খালেকুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ অঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি টীম বাউফলের ধুলিয়া এবং বাখেরগঞ্জের দুর্গাপাশা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

ওই সময় নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে এলাকাবাসিদের আশ্বস্থ্য করা হয়েছিল। কিন্তু ভূক্তভোগিরা নদী ভাঙ্গন রোধে কোন পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর তেঁতুলিয়া নদী পাড়ে স্বরণকালের সর্ববৃহৎ মানববন্ধন করেছিল।

এসময় স্থানীয় এমপি আ.স.ম .ফিরোজ নদী ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প প্রনয়নের কথা জানিয়েছিলেন। এরপর আ.স.ম. ফিরোজের নিরলশ প্রচেষ্টায় অবশেষে আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে বাউফল ও বাকেরগঞ্জের নদী ভাঙ্গন থেকে শত শত পরিবার ও তাদের যান মালকে রক্ষার জন্য এই টাকা অনুমোদন দেন। নদী ভাঙ্গ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন এমন খবরে ধুলিয়া ও দুর্গাপাশার ছড়িয়ে পড়ে।

এক প্রতিক্রিয়ায় আ.স.ম. ফিরোজ বলেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই বিষয়টিকে নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও দোয়া জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। বাউফলের ধুলিয়াবাসির দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি তিনি সম্মান দেখিয়েছেন। তাদের যানমাল রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন।

সর্বশেষ