অনলাইন ডেস্ক ::: নদী-খালের দেশ বরিশালের পরিবেশ-প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র বাঁচিয়ে রেখেছে নদ-নদীগুলো। প্রবাহমান নদী থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু প্রতিনিয়ত অবৈধ দখল ও দূষনে নদী সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে পানি। কমে যাচ্ছে পানির ভেতরে অক্সিজেনের মাত্রা। উপরে থৈ থৈ পানি দেখালেও তলদেশে ডুবো চর পড়ে প্রায় প্রতিটি নদীর নাব্যতা কমেছে আশংকাজনকভাবে। এতে বড় বড় নৌযান চালাতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। পরিবেশ-প্রকৃতি এবং জীব বৈচিত্র রক্ষায় নদী বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ দাবি করেছেন নৌযান মাস্টার এবং পরিবেশবিদরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে বরিশাল বিভাগে অর্ধ শতাধিক নদ-নদী রয়েছে। গত ২ থেকে ৩ দশকের মধ্যে বরিশালের সন্ধ্যা, সুগন্ধ, আড়িয়ালখাঁ, ধানসিড়িসহ অনেক নদ-নদী এবং শাখা নদী প্রায় মরে গেছে। অন্যান্য নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর পড়েছে। শুস্ক মৌসুমে সন্ধ্যা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারছে না। ডুবোচরে অন্যান্য নদ-নদী দিয়েও বড় বড় নৌযান ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের প্রথম শ্রেনীর নৌযান মাস্টার মো. শামীম আহমেদ। নৌ চলাচল অব্যাহত রাখতে নদীর নাব্যতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বরিশাল এর সমন্বয়কারী মো. রফিকুল আলম বলেন, শুধু নাব্যতা সংকট নয়, প্রতিনিয়ত অবৈধ দখল এবং দুষনকারীরা গলাটিপে হত্যা করছে পরিবেশ-প্রকৃতির বন্ধু নদীগুলোকে। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলায় সেগুলো গিয়ে ঠেকছে নদীর তলদেশে। অবৈধ দখলের কারনে ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে নদী। ওষুধ কোম্পানির কেমিক্যাল বর্জ্য ইটিপির মাধ্যমে পরিশোধন না করায় ড্রেন হয়ে সেগুলো সরাসরি পড়ছে নদীতে। এ কারনে নদীর পানিতে কমেছে অক্সিজেনের মাত্রা। যা পরিবেশ-প্রকৃতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সিএস ম্যাপ ধরে নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, দুষন রোধ এভং নাব্যতা বাড়ানোর জন্য অবিলম্বে সরকারি কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন পরিবেশবাদীরা।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন