বরগুনা প্রতিনিধি ::: দুই সপ্তাহেও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া বরগুনার দুটি ট্রলারের ২৫ জেলের। গত ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির পর থেকে জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় স্বজনদের। সন্ধান না পাওয়ায় জেলে পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।
গত ১০ নভেম্বর এফবি এলাহী ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায় বরগুনা সদরের ১৭ জেলে। পরে ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাত হানার ঠিক আগ মুহূর্তে স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে কথা হয় জেলেদের। এরপর থেকেই হন নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতের জলসীমায় গিয়ে তাঁরা আটক হতে পারেন।
গাজী মাহমুদ এলাকার জেলে লিটন হাওলাদারের অপেক্ষায় স্ত্রী ও দুই সন্তান। তাঁদের জন্য ৫ দিনের চাল-ডাল রেখে ওই ট্রলারে গিয়েছিলেন মাছ শিকারে। একদিকে স্বামী নিখোঁজ, অন্যদিকে সন্তানদের মুখে খাবার দিতে না পেরে স্ত্রী সালমার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ।
একই দিনে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হয় ১২ জেলে। পরদিন চার জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করলেও এখনো নিখোঁজ ৮ জেলে।
নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের সন্ধানে তৎপরতা চালাচ্ছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কাজ করছেন তারা। জেলেদের সন্ধানে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা। মৎস্য অধিদপ্তর নিখোঁজ ২৫ জেলের স্বজনদের সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।