প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বরিশাল মহানগর দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ঘোষিত নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না বরিশালের দোকান ব্যবসায়ীরা। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না কোনমতেই। প্রশাসনিক নজরদারী নাই বললেই চলে। ফলশ্রুতিতে অধিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা একদিকে যেমন দোকান কর্মচারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন অন্যদিকে ক্রেতা সাধারণকেও কোন ধরনের শারীরিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় উৎসাহ দিচ্ছেন না। ছোট্ট একটা ঘরে কতো বেশি কাস্টমার ঢুকানো যায় এবং কতো বেশি লাভবান হওয়া যায় এটাই মালিকদের মুখ্য উদ্দেশ্য। মজার ব্যাপার হলো দোকানে মালিকগণ থাকেন না। মোবাইল নেটের মাধ্যমে কোন সুরক্ষিত জায়গায় বসে দোকান পরিচালনা করছেন।
সম্প্রতি সরকার ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নিয়ম করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দোকান মালিকগণ তাদের কর্মচারীদের সকাল ৮টা ৩০ এর মধ্যে দোকানে আসার নির্দেশ দিয়েছে। দুপুরে ভাত খাবার জন্য কোন সময় দিচ্ছে না। কর্মচারীরা না খেয়ে না দেয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকানে শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। করোনার আগে দুপুরে খাবার জন্য দোকান কর্মচারীরা দেড় ঘন্টা সময় পেতো।
সকল দোকান কর্মচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে কখন কার চাকরী চলে যায়। কর্মচারী ছাঁটাইয়ে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না।
বরিশাল মহানগর দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন অবিলম্বে দোকান কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষায় জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বরিশালের সকল দোকান কর্মচারী আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।