দৌলতখান প্রতিনিধি :: ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সরদার বাড়িতে শুক্রবার (২২ মে) বিকেল ৩ টায় ব্যাটারিচালিত বোরাক রাখাকে কেন্দ্র করে তোফাজ্জল গং ও দুলাল বেপারী গংদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এসময় নারী-পুরুষ মিলিয়ে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।
তোফাজ্জল গংদের আহতরা হচ্ছে, তোফাজ্জল (৭৫), মানিক (৫০), রাজিব (২৫), সজীব (২৭), সিমা আক্তার (২৫), মালা (১৬), নাসিমা (৪০), রবিন (১৬), মমতাজ (৪৫) সেলিম (৩০) ও ইয়ানুর (৪৮)। দুলাল গংদের আহতরা হলো, দুলাল (৬৫) ওমর ফারুক (৩৫), শাহিন (১৭) ও নাজিম উদ্দিন (১২)।
আহতদের মধ্যে রবিন, মমতাজ, সেলিম ও ইয়ানূর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। বাকিরা দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তোফাজ্জল জানান, ফারুক প্রায়ই বাড়ির রাস্তায় এনে তার বোরাক রেখে চলার পথে বিঘœ সৃষ্টি করে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ফারুককে বাড়ির বাহিরে বোরাক রাখতে বলে আসছিলাম। ঘটনার দিন এ নিয়ে কথা বলতে গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুলাল গংরা আমাদের পরিবারের উপর লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
অপরদিকে দুলারের ছেলে বোরাক চালক ফারুক জানায়, নিয়মিত আমরা আমাদের বাসার সামনে এনে বোরাক রাখতাম। এতে কারো চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয় না। ঘটনার দিন তোফাজ্জল গংরা এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদের পরিবারের উপর লাঠিসোটা সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাড়ির ভেতর ফারুকের গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করেই তোফাজ্জল এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
হাসপাতালে আহতদের দেখেতে এসে এসআই মোস্তফা প্রতিনিধিকে জানায়, দু’পক্ষের মধ্যে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।