১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দ্রুত চাল চায় দশমিনার জেলেরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।
পটুয়াখালীর দশমিনার তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীসহ দেশের সকল নদ-নদীতে চলমান রয়েছে ২২দিনের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় জেলেদের আয়-রোজগার বন্ধ। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা বরাদ্দের চাল দ্রুত সময়ের মধ্যে পেতে চান জেলেরা।


উপজেলার একাধিক জেলেরা জানান, প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞার সময়ে তাদের বরাদ্দের চাল হাতে পেতে বিলম্ব হয়। এতে তাদের সংসার চলে ধার-দেনা করে। এ দেনায় দায়ে তাদের বার বার সঙ্কটে পড়তে হয়। তাই এবার যেন বরাদ্দের চাল দ্রুত হাতে পায় এ দাবী জেলেদের। এ বছর নদীতে ইলিশ মাছ কম থাকায় তেমন টাকা পয়সাও পাননি বলেও জানান তারা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় , গত ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার পুর্নবাসনের জন্য ২৫কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এ উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৭হাজার। এদের সবাই চাল পাবে। বিগত বছরগুলোতে নানা জটিলতায় ঠিক সময়ে সেই চাল পাননি জেলেরা।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, হাজীহাট, গোলখালি, কাটাখালী, কালারানী, আউলিয়াপুর ও রনগোপালদীসহ বিভিন্ন জেলে পল্লী ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ ধরা বন্ধ এজন্য ঘাটে ভেড়ানো হয়েছে জেলেদের নৌকা-ট্রলার। জেলেদের মধ্যে কেউ জাল বুনছেন কেউবা ঘাটে অলস সময় পার করছেন। কেউ আবার নৌকা ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত। কেউ বাড়ি ফিরে গেছেন। ঘাটে নেই হাঁক-ডাক কোলাহল। নদীতে ইলিশ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজও জানেন না তারা। এজন্য নিষেধাজ্ঞার সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়ারও দাবি জানান তারা। এমন বাস্তবতার মধ্যেই চাল বিতরণের দাবি জেলেদের। তবে বরাদ্দের এ চাল বিতরণের কার্যক্রম দেখা যায়নি উপজেলার কোন ইউনিয়ন পরিষদ ও মৎস্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্টদের।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার জেলে মো. লাল মিয়া বলেন, ‘স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারে ছয় সদস্যের সংসার আমার একা চালাতে হয়। নদীতে মাছ ধরেই কোনো মতে চলে আমার সংসার। এখন নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ। তাই পেটে ভাত দিতে দ্রুত সরকারি চাল দরকার। সরকারের কাছে দাবি দ্রুত সময়ের ভেতর আমরা যেন চাল পাই।’
উপজেলার গোলখালির জেলে মো. জাকির হোসেন ও বাবুল মিয়াসহ একাধিক জেলেরা বলেন, ‘আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ শিকারে যাই না। এজন্য সরকার চাল দেয় কিন্তু যথাসময়ে চাল পাওয়া যায় না । ফলে পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হয়ে যায় আমাদের। আমাগোরে যদি তারাতারি চাউল দেবার দাবী জানাই।’ তারা আরো বলেন, ‘এই ২২ দিন যেন এনজিওগুলো কিস্তি বন্ধ রাখে। এটা হলে আমাদের মতো জেলেদের অনেক উপকার হবে।’
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম তালুকদার জানান, জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আগামী দু’একদিনের ভেতরে চাল বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে না যায় সেজন্য জেলে পল্লীগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে।

সর্বশেষ