১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ধানসিঁড়ি নদী খননের মাটির চাপায় সংযোগ খাল বন্ধ ! আমন আবাদে অনিশ্চয়তা !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর: ঝালকাঠির রাজাপুরে ধানসিঁড়ি নদী খনন করে অপরিকল্পিত ভাবে স্তুপ করে মাটি রাখায় মাটির নিচে চাপা পরে সংযোগ খাল ও সেচ নালা বন্ধ হয়ে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলো মিটার জায়গায় ধানসিঁড়ি নদী খননের মাটিতে সংযোগ খাল ও সেচ নালা চাঁপা পরে আছে। বাগরী ব্রাক মোড় এলাকা থেকে উত্তর বাগরী গাজী বাড়ির খাল পর্যন্ত প্রায় ১৫শ বিঘা জমিতে এ সমস্যার কারনে এলাকার কৃষকদের চাষাবাদ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেচ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আর একারনে কৃষকরা হতাশ হয়ে পরেছেন। পাশাপাশি এসব জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকায় দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সরানো যাচ্ছেনা পানি। দীর্ঘ দিন এ সমস্যার কারনে সংযোগ খালে পানি না আসায় এলাকাবাসি এই দূষিত পানি রান্না ও ধোয়া পাল্লার কাজে ব্যবহার করছে।

বাগরী ব্রাক মোড় এলাকার কৃষক ফারুক সিকদার জানান, ব্রাক মোড় এলাকায় ২টি ছোট কালভার্ট রয়েছে যাহা নদী খননের সময় মাটি রাখায় মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন আমরা বাধা দিলে তারা পরে সরাবে বলে আশ্বাস দেয় কিন্তু আজও পর্যন্ত সরায়নি। তবে আমরা নিজ উদ্যোগে মাটি সরাতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তাদের জায়গা দাবী করে দখল করে আছেন এবং মাটি সরাতে বাধা প্রধান করছেন।

উত্তর বাগরী এলাকার বাহাদুর গাজী, মোজাম্মেল, ইসরাফিল খান, এসমাইল খান, আঃ মজিদ, আঃ রউফ, আমরা প্রতি বছরের মতো চলতি মওসুমে ইরি আবাদ করতে পারিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধানসিড়ি নদী খননের ঠিকাদার খননের মাটি সরিয়ে না নেয়ায় সেচ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। পাহাড়ের মত মাটি কেটে ফেলে রাখায় এ্ই এলাকার ৬টি সংযোগ খাল ও ৫টি কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে মাটির নীচে চাঁপা পরেছে। দ্রুত এ মাটি সরিয়ে খাল ও কালভার্টের মুখ চালু করতে না পারলে এই আমন মৌসুমেও চাষাবাদ করা সম্ভব হবেনা বলে কৃষকদের অভিযোগ।

উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারন অফিসার আ: ছালাম আকন জানান, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে অতিবৃষ্টির কারনে পানি আটকে থেকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এ কারনে বীজতলা বা রোপনকৃত ধান নষ্ট হতে পারে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফয়সাল জানান, আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে মাটি সরিয়ে সেচ নালা ও সংযোগ খাল গুলোর পানি চলাচল করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। তবে খননের মাটি গুলো কিছু অংশ সরিয়ে ওয়াক আউট করা হবে। একই সাথে পাশে গাছ লাগানো হবে।

সর্বশেষ