কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় সাজ সাজ রব। নতুনরূপে সাজিয়েছেন বিনোদন স্পটগুলো। বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল ধোয়া-মোছা আলোকসজ্জা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যে প্রথম শ্রেণীর হোটেলগুলো শতভাগ বুকিং হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর কিছু রুম ফাঁকা রয়েছে। তবে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষ্যে পর্যটকদের আগমন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানায়, বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করতে প্রতিবছর কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারনে এবছরও ২০২২ কে বিদায় জানিয়ে ২০২৩ সালে পদার্পণের সময়টাতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটকের সমাগম হবে। তাই হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানকে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
হাটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আমাদের হোটেলে আলোকসজ্জা করেছি। ইনডোরে কনসার্ট, বারবিকিউ পার্টি সহ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন রেখেছি।
হোটেল কানসাই ইন এর ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, ইতোমধ্যে তাদের হোটেল ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। আশাকরি বাকি রুমগুলো বুকিং হয়ে যাবে।
ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন (কুটুম)-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পর্যটকদের আকর্ষন করতে সাজসজ্জা, নতুনত্ব, বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন আয়োজন হাতে নিয়েছে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি বা বিনিয়োগকারীরা বড় কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এজন্য হতাশা প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক কর্মী রা এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কুয়াকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আশংকা করছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন অতিরিক্ত পুলিশ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে।