পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় দোকান ও নির্মাণাধীন ভবন ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া (হোগলাবুনিয়া) বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- ফাতেমা বেগম (৩৮), তার স্বামী জাকির হোসেন শেখ (৫০), হাফিজুর রহমান (৪৫), মো. হাসান শেখ (১৮), মাফিজুর রহমান (৪০), আব্দুর রউফ শেখ ওরফে ফজলু (৬০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ও খুলনায় ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত ইব্রাহিম শেখ (৩৫), বাবু শেখ (৩৫) ও মো. রেদওয়ান ফকির (১৬) এবং প্রতিপক্ষের রুহুল আমীন শেখ (৪০), ভাই মেরাজ শেখ (৩৫) ও মা আকলিমা বেগম (৬০) নজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলায় আহত দোকান কর্মচারী রেদওয়ান ফকির বলেন, রোববার সকালে হঠাৎ ৪০-৫০ জন লোক লাঠি ও হাতুড়ি নিয়ে দোকানের পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুর করে। এ সময় দোকানেও হামলা করে মারপিট শুরু করে হামলাকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন সকালে পাশের বাড়ির আক্রাম শেখ ও রুহুল শেখের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের চিতলমারিসহ বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৪০-৪৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাকির হোসেনের নির্মাণাধীন পাকা ভবন ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় মুদি দোকানের টাকা লুটসহ বিভিন্ন মালামাল ফেলে দেয় হামলাকারীরা। এ সময় দোকানের টাকা লুট করে জমি ও দোকানের মালিকসহ নারী পুরুষদের বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। এটা দেখে স্থানীয় বাবু শেখ নামের এক যুবক হামলা ঠেকাতে এলে তাকেও মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বিলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাকির শেখরা তাদের জমিতে ঠিকমতো আছে। কিন্তু তাদের ওপর প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা করেছে বলে শুনেছি।
হামলাকারী রুহুল আমিন শেখ নির্মাণাধীন ওই দোকানে হামলার দায় স্বীকার করে জানান, ওই জমি তাদের। তাই সেখানে থাকা স্থাপনা ভেঙে দিয়েছেন তারা।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।