১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের দিয়ে মানববন্ধন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ ডাক্তার ফজলে বারীর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ যুগান্তরে প্রকাশের প্রতিবাদে বুধবার (২৩ জুন) সকালে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের প্রধান ফটক আটকিয়ে ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাক্তার শুভ ওঝা সহ হাসপাতালের কর্মচারীরা।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত কর্মচারীদের ডেকে এনে এ মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়। এতে ওই দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হয়।
ওই মানবন্ধনের অংশ নেয়া ডাক্তার এএইচএম মোস্তফা কায়সার জানান, মানবন্ধনের বিষয় তিনি কিছু জানেন না। সবাইকে মানববন্ধনে দাঁড়াতে দেখে সেখানে অংশ নেন। উপজেলার শাখাঁরীকাঠী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী সুজন গাইন জানান, তাকে (সুজন গাইন) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনেশিয়ান মো. শহিদুল ইসলাম ট্রেনিং-এর কথা বলে জরুরী ভিত্তিতে ডেকে আনেন। পরে মানবন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করান। এমনই অভিযোগ আরো অনেকের। এ ব্যাপারে ইউপিআই টেকনেশিয়ান মো. শহিদুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, মানববন্ধনে অংশ নিতে তিনি (শহিদুল) কাউকে বলেন নি বা বাধ্য করেন নি।
এ ব্যাপারে জানতে জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. হাসানাত ইউসুফ জাকির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, দায়িত্ব বাদ দিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলে বারীর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ২২জুন যুগান্তরে ‘নাজিরপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ২৭ মে তার বিভিন্ন অনিয়ন ও দুর্নীতির অভিযোগ করে স্থানীয় জনৈক আমিনুল ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের মহপরিচালক, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ