নারায়ণগঞ্জের বন্দরে প্রেমের মিথ্যা সম্পর্ক স্থাপন করে মোবাইল ফোনে স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে (১৮) ডেকে এনে ৫ সহযোগী নিয়ে গণধর্ষণ করেছে তার কথিত প্রেমিক।
শহরের গণবিদ্যা নিকেতনের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ প্রেমিক মোমিনসহ ৩ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থানার চিতাশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে প্রেমিক মোমিনসহ তার ২ বন্ধুর নাম উল্লেখ করে এবং বাকি ২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হল- ২৩ নং ওয়ার্ড বন্দরের চিতাশাল এলাকার মনির মিয়ার ছেলে মোমিন (২১) একই এলাকার জাকির হাসানের ছেলে রনী হাসান (২৪) ও একই এলাকার মৃত বশির মিয়ার ছেলে আমিন (২২)। গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. তসলিমউদ্দিন জানান, মোমিনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। বুধবার সন্ধ্যায় মোমিন ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে বন্দর খেয়াঘাটে আসতে বলে। সন্ধ্যার দিকে খেয়াঘাটে এলে মোমিন ও তার ৫ বন্ধু ছাত্রীকে ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়।
এরপর ৫ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। কথিত প্রেমিক মোমিনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।