পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নেছারাবাদে দশম শ্রেণিতে
পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে বর ও কনের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার(১৯ মে) রাতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. বশির গাজী এ জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানাগেছে, বুধবার রাতে উপজেলার জলাবাড়ির গ্রামের পুনম দাসের মেয়ের সঙ্গে বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের সুজিত দাসের ছেলে সমির দাসের সাথে বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই সংবাদ পেয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বশির গাজী রাতেই পুলিশে নিয়ে ওই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। কিন্তু তিনি বিয়ে বাড়িতে পৌঁছার আগেই বিয়ের কার্য সম্পন্ন হয়ে যায়।পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বশির গাজী তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বরের ভাই প্রসেনজিৎ দাসকে ১০ হাজার টাকা এবং কনের বাবা পুনম দাসকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় উভয় পক্ষের অভিভাবকরা কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বর-কনে একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া না করার মুচলেকা দেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বশীর গাজী বলেন, বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে বিয়ে বাড়িতে এসে এর সত্যতা পাই।কিন্তু আমরা আসার আগেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়ে গেছে।পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বর ও কনের পরিবারকে অর্থদণ্ড দিয়ে হয়েছে। এবং উভয় পরিবার মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত আসা যাওয়া করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। বাল্যবিবাহ নিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।