নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর জাহান বেগমকে (৫৭) পাঁচ টুকরো করে হত্যা মামলার তিন আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে তিন আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এ বিষয়ে দুপুরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক এস এম মোছলে উদ্দিনের আদালত প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুরকৃত আসামিরা হলেন-চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারা এলাকার মো. ইসমাইল (৩৫), একই এলাকার মারফত উল্যার ছেলে মো. হামিদ (৩৪) ও কালাম ওরফে মামুন (৩৫)।
জেলা ডিবির পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহত নুরজাহান বেগম উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল বারেকের স্ত্রী। তিনি আট ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার নুরজাহান বেগমকে পাঁচ টুকরো করে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। নিহতের ছেলে হুমায়ুনসহ তার ৭ সহযোগী মিলে ভিকটিমকে হত্যা করে লাশের টুকরোগুলো পাওনাদারদের ধানক্ষেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।
নৃশংস এ হত্যার ঘটনায় প্রথমে ভিকটিমের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমা (২৮) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নামলে হত্যার সাথে সরাসরি সন্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। একইসাথে ৭ সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জাহাজ মারা গ্রামের প্রভিডা ফিডে পেছনের একটি ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর টুকরো টুকরো মরদেহের সন্ধান পায় পুলিশ।
এর আগে, ছেলে হুমায়ুন কবির জানিয়েছিল, বুধবার ভোর থেকে তার মা নিখোঁজ ছিল। পরে স্থানীয় এক নারী বিকেলে ধানক্ষেতের আইলে শামুক খুঁজতে এসে একটি টুকরো টুকরো মরদেহ দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।