১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটুয়াখালীতে তীব্র তাপপ্রবাহে এসি বেচাকেনা তুঙ্গে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: তীব্র তাপপ্রবাহে পটুয়াখালীতে এসির বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিনই শহরের ইলেকট্রনিকস পণ্যের শোরুমগুলোতে রেকর্ডসংখ্যক এসি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অফার। সবমিলিয়ে জেলায় প্রতিদিন গড়ে কোটি টাকার এসি বিক্রি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গরমের প্রভাব না কমলে এসি বিক্রির এ ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জেলার মানুষ। বর্তমানে গড়ে ৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তবে গরম অনুভূত হচ্ছে অনেক বেশি। এজন্য একটু প্রশান্তির খোঁজে সচ্ছল পরিবারগুলো এসি কিনছে।

এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার পছন্দ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি। ক্রেতারা বলছেন, এসি এখন কোনো বিলাসিতার বস্তু নয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি এখন প্রয়োজনীয় একটি পণ্য।

পটুয়াখালী শহরের ভিশন, ওয়ালটন, এলজি, মার্সেলসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শোরুম ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা যায়, সব দোকানেই মানুষের ভিড় রয়েছে। এসির পাশাপাশি অনেকে ইলেকট্রিক ফ্যানও কিনছেন।

পটুয়াখালী শহরের শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘এতদিন বাসায় এসির প্রয়োজন না হলেও এবার আর এসি না কিনে থাকতে পারলাম না। দেড় টনের একটি এসি কিনেছি। দাম পড়েছে ৬১ হাজার টাকা।’

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ইলেকট্রনিকস পণ্যের শোরুমগুলোতে চলছে বিভিন্ন অফার। ফ্রি পরিবহন এবং এসি সংযোগ সুবিধাও দিচ্ছেন তারা। রয়েছে কিস্তিতে কেনার সুযোগ।

পটুয়াখালী ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রেতাদের সুবিধার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট দিচ্ছি। গরম এবং ডিসকাউন্ট মিলিয়ে আমাদের বিক্রি অনেক ভালো। প্রতিদিনই অর্ডার পাচ্ছি। সবমিলিয়ে গড়ে ১৫-২০টি এসি বিক্রি হচ্ছে।’

পটুয়াখালী ভিশন এক্সক্লুসিভ শোরুমের ডিলার মাকসুদুর রহমান বলেন, ‌‘গত কয়েকদিনের গরমে এসির বিক্রি অনেক ভালো। এখন আমরা প্রতিদিন এসি অর্ডার করছি এবং সরাসরি ক্রেতাদের বাড়িতেই পৌঁছে দিচ্ছি। এপ্রিলের শুরুর দিকে প্রতিদিন ২-৩টি এসি বিক্রি হলেও সাম্প্রতিক সময় গড়ে ১০-১৫টি এসি বিক্রি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা ক্রেতাদের বাড়িতে এসি সংযুক্ত করে দিচ্ছি। ফলে তাদের বাড়তি কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।

সর্বশেষ