৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
২৪ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি বরিশালের সুইমিংপুল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ,ডক্টর ,আ ন ... অবশেষে ভোলায় স্বস্তির বৃষ্টি পিরোজপুরে নামল স্বস্তির বৃষ্টি প্রবাসে স্বামীদের জিম্মি করে দেশে স্ত্রীদের ধর্ষণ করেন পাথরঘাটার মামুন! আমতলীতে কুরিয়ার সার্ভিসে ৮ কেজি গাঁজা, দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার বাউফল উপজেলা নির্বাচনে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে মিছিল করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ আমি চেয়ারম্যান হতে নয়, এসেছি জনগণের সেবা করতে : খান মামুন আগৈলঝাড়ায় দুধ দিয়ে গোলস করে দল ত্যাগ করলেন বিএনপি নেতা বরিশালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২

পটুয়াখালীতে দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ওয়াকফা জমি উদ্ধার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালীতে দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভূমিদস্যুদের হাত থেকে প্রায় ১০ একর ওয়াকফা জমি উদ্ধার করেছে মোতয়াল্লী ডলি বেগম। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ওয়াকফা পরিদর্শক লুৎফর রহমান এবং পুলিশের সহযোগিতায় মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বিরাজলা গ্রামে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বিরাজলা গ্রামের বাবু খান ১৯২৬ সালে প্রায় ১০ একর জমি ওয়াকফা করেন। যার মোতয়াল্লী করেন তার ছেলে শের আলী খানকে। পরে শের আলী খান মারা যাওয়ার পর মোতয়াল্লী হন তারই মেয়ে ডলি আক্তার। এদিকে সেই ওয়াকফা জমি একই এলাকার মন্নান গাজী ও ফকু হাওলাদারের পরিবার গায়ের জোরে জবরদখল করে রাখেন। পরে মন্নান গাজী ঐ জমির মালিক দাবি করে ওয়াকফা প্রশাসকের কাছে জমি পেতে আবেদন করে। কিন্তুু ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর মন্নান গাজীর সেই আবেদন না মজ্ঞুর করে ওয়াকফা প্রশাসক মোতয়াল্লীর মাধ্যমে সম্পত্তি পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।

পরে ২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল আবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে মন্নান গাজী বিজ্ঞ জেলা জজ পটুয়াখালী আদালতে ওয়াকফা প্রশাসকের রায়ের বিরুদ্ধে মোকাদ্দমা দায়ের করেন এবং সেই মোকদ্দমাটি আদালত খারিজ করে দেন। এছাড়া বিজ্ঞ জেলা জজ পটুয়াখালী আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন। পরে ২০২৩ সালের ১৩ জুন সেই আবেদন ও খারিজ করেন।

পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ওয়াকফা পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ওয়াকফা জমি বিক্রি করা যায় না শুধু ভোগদখল করা যায়। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ওয়াকফা জমির মোতয়াল্লী মোসাঃ ডলি আক্তারকে তার জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে বাবু খানের ওয়াকফা করা জমির মোতয়াল্লী ডলি আক্তার বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরে আমি এবং আমার ছোট ভাই বোনদের নিয়ে খুব কস্টে দিন পার করছি তবুও মন্নান গাজী ও ফকু হাওলাদার আমাদের জমিতে যেতে দেয়নি। বিভিন্ন সময় আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছি। তবে ওয়াকফা প্রশাসক ও পুলিশের সহায়তায় আমাদের জমি এখন ভোগদখলে যেতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।

সর্বশেষ