১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পটুয়াখালীতে বিরোধীয় জমি দখলে নিতে চাদাবাজী মামলা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার অন্তরালে অন্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মাওলানা এ,কে,এম, আবদুস সালাম’র বিরুদ্ধে।আবদুস সালাম দুমকি উপজেলার নলদোয়ানী এলাকার আঃআউয়াল রুস্তুম মুসল্লীর পুত্র।আবদুস সালামের সাথে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে স্থানীয় মৃত আতাহার সিকদারের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম শাহিন ও তার ভাইদের সাথে। নলদোয়ানী আব্দুস সালাম নূরানী মাদ্রাসা করতে গেলে জমির বন্টন নিয়ে সাইফুল ইসলাম ও আব্দুস সালামের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সনের১৪ই নভেম্বর মাসে শাহিন গংদের ৭/৮টি গাছ জোরপূর্বক কাটিয়া নিয়ে যায় আবদুস সালাম সহ তার লোকজন।এব্যাপার আবদুস সালাম সহ তিন জনকে বিবাদী করে দুমকি থানায় অভিযোগ করেন সাইফুল ইসলাম শাহীন।২০২২সনের ২৪ সেপ্টেম্বর শাহীন গংদের বসত বাড়ীতে হামলা চালায় আবদুস সালাম সহ তার লোকজন। এ বিষয়ে ৩০সেপ্টেম্বর দুমকি থানায় আবদুস সালামসহ ৮জনকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন সাইফুল ইসলাম শাহিন। এ নিয়ে বহুবার শালিস মিমাংসার বৈঠক হলেও কোন ফয়সালা না পেয়ে সাইফুল ইসলাম শাহিন বাদী হয়ে পটুয়াখালি বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আঃ সালাম সহ ১০ জনকে বিবাদী করে দেওয়ানী মোকদমা দায়ের করেন যাহার নং ৫৫৪/২২। বিরোধীয় জমিতে গত২৮ মার্চ মাদ্রাসার টিনের বেড়ার ভীতরে পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে।এ বিষয়ে সাইফুলের ছোটভাই আঃ মন্নান দুমকি থানায় জানালে থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ তাতক্ষনিক পুলিশ অফিসার পাঠিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। ঘটনা স্থলে পুলিশ আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে আঃ সালাম নলদোয়ানী এলাকার জালাল মন্সির পুত্র মোঃমজিবুর রহমানকে বাদী করে সাইফুল শাহিন তার ছোট ভাই আঃ মন্নান সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে বিবাদী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে মামলা দায়ের করেন যার নং সি,আর ৫৪/২৪।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোঃ সাইফুল ইসলাম শাহিন বলেন”আমরা ন্যায় বিচার চাই।কর্ম করার কারনে আমরা তিন ভাই বিভিন্ন জেলায় বসবাস করি।তারপরেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আঃ সালামগং রা।এ ব্যাপারে চাঁদাবাজি মামলার বাদী মজিবুর রহমান বলেন”ওরা মিস্ত্রি দের মারছে,মালজিনিস ফালাইয়া দিছে এই জন্য মামলা হইছে।”মামলার স্বাক্ষি মিস্ত্রিরা বলেন আমাদের কেউ মারধরও করেনি চাদাও চায়নি “।এ ব্যাপারে মাওঃআব্দুস সালাম বলেন ” আমি ক্রয় সুত্রে ও এওজবন্টন মুলে এজমির মালিক।কিছু হলেই ওরা পুলিশ আনে।এবার বুঝবে মজা।কয়েকদিন পরপর কোটের বারান্দায় হাজিরা দিলেই দমন হইবে।”অত্র মাদ্রাসার সাবেক সুপার বলেন” এই জমিতে বিরোধের কথা শুনেছিলাম তবে পরে স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান হয়েছে এমনটা শুনেছি।”মাদ্রাসা সংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান বলেন”এই জমি নিয়ে মাঝে মাঝে ঝামেলা হয় শুনেছি।”নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকে জানান আঃসালাম অনেকটা জোরপূর্বক এ জমি দক্ষলে নিয়ে মাদ্রাসা বানাচ্ছে।

সর্বশেষ