১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটুয়াখালীর ছোট বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মির্জা আহসান হাবিব ঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহার ও সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণ করে পুলিশে সোপর্দ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষতিগ্রস্তের পরিবার এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলার চেয়ারম্যানবৃন্দ।
১৮ মে বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং সদর উপজেলার চেয়ারম্যানগন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন ছোট বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার এর স্ত্রী শিবলীর নাহার সুলতানা। লিখত বক্তব্যে বলন ছোট বিঘাই ইউনিয়নের ৪৫০ জন জেলের ২ মাসের জনপ্রতি ৮০ কেজি করে মোট ৩৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়। যাহা ৫০ কেজির বস্তায় মোট ৭২০ বস্তা হয়।ঘটনার আগের দিন চেয়ারম্যান সাহেব ও ইউপি সচিবের উপস্থিতিতে ৭২০ বস্তা চাল খাদ্য গুদাম থেকে ছাড়িয়ে ট্রলার যোগে ছোট বিঘাই নেওয়ার জন্য ট্রলারে ভর্তি করলে দেখা যায় ট্রলারে সব বস্তা নিতে পারছে না। তখন পুনরায় ১৫ বস্তা চাল গুদামে ফেরত দিয়ে বাকী চাল ট্রলারে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়ে ইফতারির সময় হওয়ায় চেয়ারম্যান চলে আসেন। পরে রাতে ইউপি সচিব চেয়ারম্যান কে জানায় ট্রলারে সংকুলান না হওয়ায় আরও ১৩ বস্তা চাল গোডাুনে রেখে ৬৯২ বস্তা চাল নিয়ে ট্রলার ছোট বিঘাই রওয়ানা হয়ে গেছে। এ সময় চালের ডেলিভারি চালান চেয়ারম্যান এর কাছে থাকায় ১৩ বস্তা চাল লিপিবদ্ধ করা হয় নাই।ঘটনার দিন সকালে চেয়ারম্যান খাদ্য গুদামে অবশিষ্ট চাল পুনরায় অন্য ট্রলারে ভর্তি করে ছোট বিঘাইর উদ্দেশ্য রওয়ানা করিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব ছোট বিঘাই বিতরণ স্থলে পৌছালে বাচ্চু মেম্বার আসলাম মেম্বর লোকজন নিয়ে চাল বিতরণ এ বাধদ দেয় এবং প্রশাসনের লোক খবর দেয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনা স্থলে পৌঁছে সকল কিছু চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মুখে শুনে পটুয়াখালী খাদ্য গোডাউনে রক্ষিত ১৫ বস্তা ও ১৩ বস্তা চাল বিতরণ স্থলে আসা মাত্র বিতরণ করে দেয়ার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং ইউনিয়নে রিলিফ বন্টনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সকল মেম্বার সহ সম্পূর্ণ চাল বিতরণের মৌলিক সিদ্ধান্ত দিয়ে ঘটনা স্থান ত্যাগ করেন।বিকাল ৫ টায় মধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং ইউনিয়নে রিরিফ বন্টনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপস্থিতিতে সকল মেম্বরসহ ৪৫০ জন জেলের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৬ মঃ টন চাল বিতরণ করে বিতরন মাষ্টার রোল ট্যাগ অফিসার ও মেম্বারদের স্বাক্ষর করা কাগজ সহ সন্ধ্যার পর চেয়ারম্যান বাসায় ফেরেন।
তিনি আরও বলেন ভিজিএফ এর চাল বিতরণের সময় অনিয়ম হতে পারে কিন্তু পরিবহন কালিন এবং সম্পূর্ণ চাল বিতরন স্থলে পৌঁছানোর আগে কি ভাবে আত্মসাৎ করা যায়? যে চাউল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং ট্যাগ অফিসার এবং সকল মেম্বারদের উপস্থিতিতে বিকাল ৫ টার মধ্যে বিতরণ করা হয়ে গেল সে চাল কিভাবে দুপুর ১২ টায় ঘটনা দেখিয়ে রাত ৯ টা ৪০ মিঃ সময় কালোবাজারে বিক্রি করার উদ্দেশ্য মজুদ করা নিয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় এজাহার করা সম্ভব।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ গোলাম সারোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ সোহেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহানা হোসেন মিকি, ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক জোমাদ্দার, মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুশফিকুর রহমান মিলন মাঝী, কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ, কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির রহমান মৃধা, জৈন কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ আলম, লাউকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খোকন, বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মজনু মোল্লা, লোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন, আউলিয়া পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ হুমায়ুন কবির, ভুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল মোল্লা, লাউকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খোকন, বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন।

সর্বশেষ