পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালী–৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেনের ঈগল প্রতীকের সমর্থনে গত ২০ ডিসেম্বর পিস্তল নিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছিলেন যুবলীগ নেতা। তিনি দশমিনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শওকত। ওই দিন বিকেলে দশমিনা বাজারে ঈগল মার্কার সমর্থনে লিফলেট বিতরণের সময় তাঁর কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাঁকে আর অস্ত্র নিয়ে বেরোতে দেখা যায়নি।
এবার রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খলিশাখালী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে দীর্ঘ নল বিশিষ্ট বন্দুক দেখা যায়। যুবলীগ নেতা শাখাওয়াতের সহচর মো. রুবেল হোসেনকে কাঁধে অস্ত্রটি বহন করতে দেখা যায়। যুবলীগ নেতার একান্ত সহচর তাঁর ফেসবুক আইডিতে সেই ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যায়, শাখাওয়াত হোসেন শওকত সামনে হাঁটছেন, আর ঠিক পেছনে অস্ত্র কাঁধে হাঁটছেন রুবেল।
এ বিষয়ে আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মুন্সি বলেন, ‘নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৫ দিন, এ সময়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ঘোরা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করছে। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, নির্বাচনী আচারবিধি সম্পর্কে সচেতন। এর আগেও তিনি দশমিনা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ঈগল প্রতীকের লিফলেট বিতরণের সময় তাঁর লাইসেন্স করা অস্ত্র মাজায় দেখা যায়। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন ইলেকট্রনিক কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে, তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।’
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁকে (যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত) অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি এখনো অস্ত্র জমা দেননি। আজকের বিষয়টি জানা নেই। আমি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’