১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে বাড়ছে তালপাখার চাহিদা অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বরিশাল স্টেডিয়ামে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী গলাচিপায় নাগরিক কমিটি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রেস বিফ্রিং যুক্তরাজ্যে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা. শরিফুল হালিম উজিরপুরে নোটিশ ছাড়া দোকানপাট ঘরবাড়ি উচ্ছেদ ! বাংলাবাজার খানকায়ে নেছারিয়ায় মাসিক তা'লিমী জলসা অনুষ্ঠিত মির্জাগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে কৃষকের হাত ভেঙে দিল সন্ত্রাসীরা ।। মির্জাগঞ্জে ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট ভোটের মাঠ সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ফার্মেসি-ক্যান্টিন থাকবে না যত বাধা আসুক, দেশকে এগিয়ে নেব: প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতুর কল্যাণে বদলে যাবে ‘রাঙ্গাবালী’

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন পূরণের দিন ২৫ জুন। ওইদিন পদ্মাসেতু উদ্বোধনে খুশি দেশের সর্বদক্ষিণের দ্বীপ রাঙ্গাবালীর মানুষ। নদী আর সাগর ঘেরা দ্বীপ উপজেলা ‘রাঙ্গাবালী’। এটি জেলা সদর পটুয়াখালী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে। যেখানে প্রায় দুই লাখ মানুষের বাস।
আর এই দুই লাখ মানুষের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম নৌপথ। পাড়ি দিতে হয় ভয়াল আগুনমুখা নদী। নানা ভোগান্তি পেরিয়ে পৌছতে হয় সৌন্দর্যের দিগন্তে। আর এবার দীর্ঘদিনের ভোগান্তি উপেক্ষা করে এ দ্বীপের মানুষ এবার পেতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর সুফল। রাঙ্গাবালীর লোকজন জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর কল্যাণে সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে, ভাগ্য বদলাবে এই দ্বীপের। যেখানে একমাত্র বাঁধা ছিলো যোগাযোগ ব্যবস্থা। তারা বলছেন, পদ্মা সেতুর শতভাগ সুফল পেতে রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি নৌরুটের আগুনমুখা নদী ফেরি সেবা চালু প্রয়োজন। তাহলেই উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে; লাঘব হবে যোগাযোগ সমস্যারও।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে লঞ্চযোগে রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগে ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টা। আর ফেরিসেবা চালু হলে সড়কপথেই পদ্মা সেতুর কল্যাণে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র সাত থেকে আট ঘন্টা। এতে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে অন্যদিকে ঘটবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। পাল্টে যাবে এলাকার দৃশ্য।পর্যটনমুখর হবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাজমারা, সোনারচর, চরহেয়ার ও তুফানিয়া সমুদ্র সৈকত। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, অতিথি পাখির কোলাহলসহ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ছুঁটে আসবেন ভ্রমণপিয়াসুরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটক বাড়লে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। শুধু পর্যটন নয়, সম্ভাবনাময় উপজেলাটি রসালো ফল তরমুজ উৎপাদনে এটি অন্যতম এলাকা। কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, প্রতি মৌসুমে রাঙ্গাবালীতে উৎপাদিত ৩ লাখ মেট্রিকটণ তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০০ কোটি টাকা। কৃষকরা বলছেন, ফেরি থাকলে তরমুজসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য স্বল্প সময়ে বাজারজাত করা যাবে। এতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে কৃষক। ভোক্তাও পাবে কম দামে তাজা পণ্য। চারদিকে নদী ও সাগর বেষ্টিত দ্বীপটি মৎস্য আহরণস্থল। যেখানে আছে ইলিশের অভয়াশ্রম। আগুনমুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ, রাবনাবাদ ও দারছিড়া নদীসহ সাগর জলসীমা থেকে তাঁজা ইলিশ পৌছবে ঢাকায়। এছাড়া হাসপাতালবিহীন এ উপজেলার মানুষ অন্যত্র গিয়ে নিতে পারবে আধুনিক চিকিৎসা সেবা। ব্যবসা-বাণিজ্যেও ঘটবে নানা পরিবর্তন। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটের আগুনমুখা নদীতে ফেরি চালুর জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) একটি দল সরেজমিনে পরিদর্শন করে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সমীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলছেন, ফেরিসেবা চালুর মাধ্যমে রাঙ্গাবালীর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এজন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জজির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটে ফেরি সেবা চালুর। ফেরি চালু হলে পদ্মা সেতুর শতভাগ সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ।

সর্বশেষ