২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাথরঘাটায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আসামি হয়েও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনা কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. মারুফ হোসেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর জানান, চলতি মাসের ৫ তারিখ তাদের কাছে রফিকুল ইসলাম রিপনের (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান) নামে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলায় একটি ওয়ারেন্ট এসেছে। আমরা সেই ওয়ারেন্ট কপি এসপি অফিসে পাঠিয়েছি এবং একটি কপি পাথরঘাটা থানায়ও পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ সালের ২নং আইনের ৫/২ দণ্ডবিধি ৪০৯/৪৬৮ ধারায় পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে দুদুকে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হয়েছেন তিনি।

জানা যায়, তার নির্বাচনি হলফনামায় সেই মামলার তথ্য গোপন করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ আকন্দ জানান, আমরা যারা প্রার্থী হয়েছি সবাই হলফনামায় আমাদের সকল তথ্য তুলে ধরেছি কিন্তু সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা রয়েছে এবং সেই মামলায় সে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ জানান, শুনেছি তার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি মামলা আছে এবং সেই মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত একজন আসামি।

তথ্য গোপনের বিষয়ে সত্যতা জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রিপনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নানা ব্যস্ততা ও মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. মামুন হোসেন জানান, এখনো আমি কোনো ওয়ারেন্ট কপি হাতে পাইনি। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। ওয়ারেন্ট কপি হাতে পেলে আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও পাথরঘাটার রিটার্নিং অফিসার দিলীপ কুমার হাওলাদার জানান, যদি সে কনভিক্টেট না হয় তাহলে তার নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা যেটা ইচ্ছে সেটা রায় দিতে পারে। এ বিষয়ে পুলিশ এবং ব্যাংকের দাবি থাকতে পারে। তাছাড়া যে কেউ তার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তার বিরুদ্ধে যদি দুই বছরের অধিক সাজা না হয় তাহলে সে নির্বাচন করতে পারে। যদি কেউ তার বিরুদ্ধে আপিল করে তাহলে জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ